প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিনিয়াগবান্ধব বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীরদের জন্য আইনি সুরক্ষা, উদার রাজস্ব ব্যবস্থা, মেশিনপত্র আমদানির ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়, আনরেস্ট্রিকটেড এক্সিট পলিসি, সম্পূর্ণ বিনিয়োগ ও পুঁজি নিয়ে চলে যাওয়ার-সহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা রয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে নিরবচ্ছিন্ন সুবিধা ও সেবা নিশ্চিত করে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছি। এরমধ্যে ১২টি অঞ্চল ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। দুটি অঞ্চল ভারতের বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানের জন্য বেশ কয়েকটি হাইটেক পার্ক তৈরি করা হয়েছে।’
বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের জন্য সামাজিক মূল্যবোধ ও জনগণের আস্থার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘অনেকেই বাংলাদেশকে ৩ কোটি মধ্য ও উচ্চবিত্ত মানুষের একটি বাজার ও ‘অলৌকিক উন্নয়নের’ দেশ হিসেবে দেখে থাকেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের প্রধান শক্তি হচ্ছে সামাজিক মূল্যবোধ ও বাংলাদেশের প্রতি মানুষের আস্থা। সাম্যতা, সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলার আকাঙ্ক্ষার পাশাপাশি আমাদের নেতৃত্বের প্রতি তাদের আস্থা।’
৪০টি দেশের ৮০০ প্রতিনিধি দুই দিনের এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলন শেষ হবে শুক্রবার (৪ অক্টোবর)। সমাপনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।