এস আই সুমন,স্টাফ রিপোর্টার,বগুড়াঃ
বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আলী হায়দার চৌধুরী বিপিএম এর তত্ত্ববধানে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি বগুড়া’র ইনচার্জ মোঃ সাইহান ওলিউল্লাহ এর নেতৃত্বে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগ নেতা তাকবির হত্যা মামলার আসামী পারভজ আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার। গত ইং ১৯/০২/২০২২ শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়া ডিবির একটি চৌকস টিম বগুড়া জেলার বগুড়া সদর থানাধীন পুরান বগুড়া সাকিনস্থ পূর্ব দুয়ারী তাসিন ছাত্রাবাসের উত্তর দুয়ারী মাঝের কক্ষের সিলিংয়ের উপরে বিশেষ কায়দায় রক্ষিত ০১ (এক) টি ট্রিগার ও ম্যাগজিন সংযুক্ত সচল থ্রী নট থ্রী কাটা রাইফেল, ০১টি অত্যাধুনিক বার্মিজ চাকু, ০১টি প্লাস্টিকের বাটযুক্ত চাকু এবং ০২টি এসএস পাইপসহ উদ্ধার করে।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নামঃ
পারভেজ আল মামুন ওরফে মুক্তাদির (২১), পিতা মো: ফজলে মাবুদ শাহিন, মাতা মোছা: উম্মে হাবিবা, সাং চাকলমা মুন্সিপাড়া, পো: মোকামতলা, থানা শিবগঞ্জ, জেলা বগুড়া।
উদ্ধারকৃত আলামতঃ
১। ০১ (এক) টি ট্রিগার ও ম্যাগজিন সংযুক্ত সচল থ্রী নট থ্রী রাইফেল (কাটা রাইফেল), যাহার ফায়ারিং পিন এবং হেমার সংযুক্ত আছে, যাহাতে রাইফেলের গুলি ব্যবহার করা যায়, যাহার ব্যারেল লম্বা ১১12 (সাড়ে এগারো) ইঞ্চি, কাঠের বাট লম্বা ৩ (তিন) ইঞ্চি, বাট সহ ব্যারেল লম্বা ১৪12 (সাড়ে চৌদ্দ)ইঞ্চি , প্রস্থ্য ৫12 (সাড়ে পাঁচ) ইঞ্চি ।
২। ০১ (এক) টি অত্যাধুনিক বার্মিজ চাকু, যাহার হাতলের এক পার্শ্বে কাঠ স্ক্র দ্বারা আটকানো, একপার্শ্বে ধারালো, সামনের অংশে ঈগল পাখির ছবি খোদাই করা, যাহা লম্বা ১০ (দশ) ইঞ্চি।
৩। ০১ (এক) টি একপার্শে ধারালো প্লাষ্টিকের বাট যুক্ত চাকু, যাহা লম্বা ১০ (দশ) ইঞ্চি।
৪। ০২ (দুই) টি এস এস পাইপ, যাহা প্রতিটি লম্বা ৩০ (ত্রিশ) ইঞ্চি।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশকে জানায়, ইং ১১/০৩/২০২১ তারিখে রাত্রী ৯.০০ ঘটিকার সময় বগুড়া জেলা স্কুল এর প্রধান গেটের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থানের সময় এজাহার নামীয় ০১ নং আসামী আঃ রউফ তার সঙ্গীয় অন্যান্য আসামীদের সহায়তায় ছাত্রলীগ নেতা তাকবীর ইসলাম খানকে হত্যার উদ্দেশ্যে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করে। পরবর্তীতে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইং ১৬/০৩/২০২১ তারিখে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম এর দিক নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখা, বগুড়ায় অর্পন করা হলে ওসি ডিবি,বগুড়া মামলাটি তদন্তভার এসআই(নিঃ) মোঃ জুলহাজ উদ্দীন বিপিএম পিপিএম এর উপর অর্পন করেন। ইনচার্জ মোঃ সাইহান ওলিউল্লাহ মামলাটি নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করার জন্য একটি শক্তিশালী টিম গঠন করেন এবং মামলাটির রহস্য উদঘাটনের জন্য সার্বক্ষনিক দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। অত্র মামলার তদন্তেপ্রাপ্ত আসামী মোঃ আল আমিন এর দেওয়া ফোঃকাঃবিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক প্রদত্ত জবানবন্দীতে মোঃ পারভেজ আল মামুন ওরফে মুক্তাদির এর নাম প্রকাশ করে। জেলা গোয়েন্দা শাখা, বগুড়ার একটি চৌকস টিম আসামী পারভেজ ওরফে মুক্তাদিরকে গ্রেফতারের লক্ষ্য নিরলস পরিশ্রম করিতে থাকে। এরই ফলশ্রুতিতে ইং ১৯/০২/২০২২ ঘটিকার সময় বগুড়া সদর থানাধীন পুরান বগুড়া সাকিনস্থ তাসিন ছাত্রাবাসে অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ পারভেজ আল মামুন ওরফে মুক্তাদিরকে গ্রেফতার করে। তাহাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে স্বীকার করে যে, বগুড়া সদর থানাধীন তাকবীর ইসলাম খান হত্যা মামলার সহিত জড়িত আছে। সে তাকবীর ইসলাম খান হত্যা মামলা হওয়ার পর হইতে দীর্ঘদিন যাবৎ আত্মগোপন করিয়া আসিতেছে। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তাহার শয়নকক্ষে সিলিংয়ের উপরে বিশেষ কায়দায় রক্ষিত ০১ (এক) টি থ্রী নট থ্রী কাটা রাইফেল, ০১টি অত্যাধুনিক বার্মিজ চাকু, ০১টি প্লাস্টিকের বাটযুক্ত চাকু এবং ০২টি এসএস পাইপ আছে। তাহার দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে এবং তাহার বাহির করিয়া দেওয়া মতে বর্ণিত অস্ত্রসস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি অস্ত্র মামলা রুজু হইয়াছে। অভিযুক্ত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হইবে বলে ডিবি’র ওসি জানান।