শাহজাহান আলী, শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার গুজিয়া গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ তোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে অবৈধ গভর্ণিং বডির মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী। প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও অদৃশ্য হাতের কারণে প্রতিকার পাচ্ছেনা ভুক্তভোগী অভিভাবক ও সচেতন এলাকাবাসী। জানা যায়, আতিকুর, ভূট্টা ও জাহিদুর রহমান কর্তৃক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড রাজশাহীর চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছিলো ৩০ জুলাই ২০১৯ইং তারিখে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড রাজশাহী হতে ৮আগষ্ট ২০১৯ইং তারিখে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্ত চলা অবস্থায় ৬আগষ্ট ২০১৯ইং তারিখে কিভাবে অধ্যক্ষ কমিটি পাশ করে নিয়ে এসেছে তা নিয়ে স্থানীয় জনমনে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কমিটি গঠনের পর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ৬অক্টোবর ২০১৯ইং তারিখে অভিযোগ তদন্ত করার জন্য গুজিয়া গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে আসে। কমিটি গঠনের পরে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের তদন্তও জনমনে সন্দেহ ও সংশয়ের সৃষ্টি করেছে। এছাড়াও এ সংক্রান্ত বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে যাহার নং-১০১৭০। হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিলকারী নাসির বলেন, বর্তমান অধ্যক্ষ সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে গভর্ণিং বডি গঠন করেছে। আমি তার বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছি। কিন্তু কোন ক্ষমতার বলে অধ্যক্ষ কমিটি পাশ করেছে ও রাতের অন্ধকারে নিয়োগ বানিজ্য করেছে তা নিয়ে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে মধ্যে ৬ষ্ঠ শ্রেনির একজন শিক্ষার্থী যার রোল নং-২২ ভোটার তালিকায় নাম না থাকা পাশাপাশি দ্বাদশ শ্রেণীর ১০জন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের নাম ভোটার তালিকায় না থাকা, নমিনেশন উত্তোলনের তিন দিন সময়ের মধ্যে ১দিন জুন ক্লোজিং থাকাও জনমনে সন্দেহর সৃষ্ঠি করেছে। সরেজমিনে গিয়ে আরও জানা যায় পূর্বের কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম শান্তুও বর্তমান অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে মামলা করেছিলো। এছাড়াও দাতা সদস্যদের নামের তালিকায় দেখা যায় ১০জনের মধ্য ৮জনই অধ্যক্ষের (শ্যালক-৩জন, ভগ্নিপতি-২জন, মামা শ্বশুড়-১ জন, ছোট ভাই-১জন ও জ্যাঠাতো ভাই-১জন) নিকট আপনজন। জানতে চাইলে অধ্যক্ষ তোজাম্মেল হক বলেন, যেকেউ দাতা সদস্য হতে পারে আর আমি বৈধ্য ভাবেই কমিটি নিয়েছি এবং শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছি। অপরদিকে এলাকার একাধিক সচেতন ব্যক্তি জানিয়েছেন যে, অধ্যক্ষ নিজের পছন্দের ব্যক্তি ও নিকট আত্মীয় স্বজনদের দিয়ে কৌশলে গভর্ণিং বডি গঠন ও বিভিন্ন সময় নিয়োগ বানিজ্যে করে আসছে। তারা আরও জানিয়েছেন যে, অভিযোগ নিষ্পত্তি করে অধ্যক্ষ কমিটি ও শিক্ষক নিয়োগ দিলে তা হবে সকলের জন্য গ্রহণযোগ্য ও সন্তোষের বিষয়।