শাহজাহান আলী,শিবগঞ্জ( বগুড়া) প্রতিনিধিঃপুরাকীর্তিতে সমৃদ্ধ বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানগড় ও আশেপাশের এলাকা। অত্র এলাকায় বিশেষ করে মহাস্থানগড় এরিয়া,, শাহ সুলতানের মাজার, গোকুলের মেধ (বেহুলার বাসরঘর), ভাসুবিহারেরর সংরক্ষিত পুরাকীর্তিগুলো হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্যকে সাক্ষ্য দিচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের কারনে দেশ বিদেশের মানুষ ইন্টারনেটে এ সব পুরাকীর্তির তথ্য- উপাত্ত জানতে পারছে এবং সরজমিনে সেগুলো দেখতে অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছে। আর সেকারনেই প্রতি বছরই দেশী – বিদেশী পর্যটকদের সংখ্যাও অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে সরকারের রাজস্বও বিগত বছরগুলোর চেয়ে কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরাকীর্তিগুলো দেখতে সারা বছরই দর্শনার্থী তথা পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। তবে বাংলাদেশের পর্যটন মৌসুম শীতকালেই এ ভীড় সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়। দেখা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে পর্যটন শিল্পের বিকাশ সাধনে অত্র এলাকাতে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে যাদুঘরের সংস্কার কাজ, নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মান, পর্যটকদের বসার জন্য সুদৃশ্য সেড তৈরী, পায়ে চলার জন্য রাস্তার উন্নয়ন, ভালোমানের কেন্টিন ও টয়লেট নির্মানসহ ইত্যাদি। এছাড়াও পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য একটি পুলিশ ক্যাম্পও স্থাপিত হয়েছে। পাশাপাশি ২০ জন ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য সর্বদা দায়িত্ব পালন করে চলেছে। তাছাড়াও টুরিষ্ট পুলিশের টহলতো আছেই। এ বিষয়ে মহাস্থান যাদুঘরের কাষ্টোডিয়ান রাজিয়া সুলতানা বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা এখানে বিদ্যামান রয়েছে। তিনি আরো জানান, বিগত সময়ের চেয়ে আগত পর্যটক তথা দর্শনার্থীগণ এলাকায় স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপদবোধ করেন। সেইসাথে এ পর্যটন এলাকার সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে সকলের সহযোগিতাও তিনি কামনা করেন। এদিকে ঐতিহাসিক এ এলাকার পুরাকীতিগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষন, পর্যটন এলাকার উন্নয়ন এবং আগত দর্শনার্থীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তথা সরকারের সুদৃষ্টি আরো বাড়ানো প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করেন।