করোনার মাঝে হাত ছানি দিচ্ছে পবিত্র ঈদুল আযহা। পবিত্র ঈদুল আযহা কে নিয়ে কী ভাবছেন ডি আই ইউ এর সাধারণ শিক্ষার্থীরা। করোনাকালীন ইদের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা তুলে ধরেছেন জাহিদ হাসান পিয়াস৷
ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী তাসলিমা রুপ পুতুল বলেন,
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি। ঈদ মানেই সব মজার মজার খাওয়া-দাওয়া, নতুন জামা পরে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যাওয়া,বন্ধুরা মিলে হৈহল্লা করা, বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণ করা।
যেন এক অন্যরকম আমেজ।
তবে এবারের কুরবানির ঈদ কাটবে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
করোনার কারণে অন্যসব দিনের মতই স্বাভাবিক একটা দিন কাটবে ঈদে।
শুধু ঘরে বসে খাওয়া দাওয়া আর টিভিতে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান দেখা।
তবে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে কুরবানী নিয়ে। অন্য বছরের ন্যায় মাংস বিলি করতেও বিপাকে পরতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
মাস্ক, গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঠিকভাবে ব্যাবহার করতে হবে।
আর সকল রকম নিরাপত্তা এবং পরিচ্ছন্নতা সুনিশ্চিত করেই এই মাহামারীতে সুস্থ একটা ঈদ কাটানোর চেষ্টা চালাতে হবে।
আর যথা সম্ভব ঘরে অবস্থান করতে হবে। বেঁচে থাকলে ইন-শাহ-আল্লাহ পরবর্তী ঈদগুলোতে আবার সেই একই আমেজ ফিরে পাবো।
সেপর্যন্ত নিজের এবং পরিবারের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার দ্বায়িত্ব আমাদের সকলেরই।
ফার্মেসি বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আমেনা সুলতানা লিপি জানান,
ঈদ মানে আনন্দ,ঈদ মানে খুশি
আর ঈদুল আযহা মানে গরুর গোস্ত ঝুড়ি ঝুড়ি
ঈদের কথাটি শুনলেই আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে ভাবনাটি আসে তা হলো ঈদের ছুটিতে বাড়িতে প্রিয়জনদের কাছে ছুটে যাওয়া। আর ঈদের আযহার সাথে যে কথাটা সবার মাথায় আসে তা হলো গরুর গোস্তের ডেইলি ভোজ।বছরে এই একটা মাত্র দিনে ধনী-গরীব-নির্বিশেষে সব মুসলিম গরুর গোস্তের স্বাদ পেয়ে থাকেন।
কিন্তু এবছরে বিশ্বে মহামারী সৃষ্টিকারী নোবেল করোনা ভাইরাসের জন্য এই বিশেষ ঈদকে ভিন্নরূপে দেখছি।সকল শিক্ষার্থী ১৮ই মার্চ থেকে দীর্ঘ ৪ মাস ১২দিন নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছি।তাই নেই সেই বাড়ি ফেরার আমেজ।আমরা সুস্থ পৃথীবির প্রতীক্ষায়,আমাদের ক্যাম্পাসের ফেরার আশায়।
অন্যদিকে বেশিরভাগ মানুষ কর্মজীবন থেকে বিরত থাকায় আর্থিক সংকটের কারনে দিতে পারবে না কোরবানি। আবার যারা কোরবানি দিবে তাদের বাসা/বাড়িতে হবে না প্রত্যেকবারের মত আসা যাওয়া। আমাদের পৃথিবী যে অসুস্থ, চারদিকে মৃত্যুর আহাজারি, প্রিয়জনদের হারানো ব্যাথা।
তবুও আমরা সমস্ত প্রতিকুলতা জয় করে ঈদের আনন্দটা সবার সাথে ভাগ করে নিতে চাই।স্বাস্থ্যবিধি মেনে, করোনা সর্ম্পকে ভূল-ভ্রান্তি দূর করে সঠিক পদ্ধতির গণসচেতনতা বৃদ্ধি করে পৌছে দিবো ঈদের আনন্দ ঘরে ঘরে।
স্বাস্থ্যবিধি মানবো
হ্যান্ড স্যানিটাইজার,মাস্ক ব্যবহার করবো
করোনা জয় করেই ঈদ উদযাপন করব
সকলের মুখের হাসি কিনবো।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল আযহা উদযাপনের কথা বলেছেন ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী মুনিরা সুলতানা।
ঈদুল আজহা সারা বিশের মুসলিম উম্মাদের জন্য একটি অতি আনন্দের দিন। প্রতি বছর এর মতো এই বারও আল্লাহ পাকের সন্তুসটির জন্য হালাল পশু কুরবানী দেয়া হবে। এই বারের করোনা পরিস্থিতিতে অনেক এই হয়তো কুরবানী দেয়ার সামর্থ রাখছেন না,আমাদের সবার উচিত প্রতিবেশী আর নিজের আত্মীয়দের খোঁজ নেয়া।সামর্থ অনুযায়ী সাহায্য করা। আর করনা এর জন্য হয়তো অন্য বারের মতো ঘুরাঘুরি হবেনা। কিন্তু আমরা এই ঈদের মাধ্যমে সার্মথ্যহীনদের সাহায্যের হাত বারাতে পারি। আর প্রতেককে বার বার হাত ধুয়ার কথা মনে করাব। সামাজিক দুরত্ব আর নিরাপত্তা বজায় রেখে চল্লে হয়তো সুস্থ হয়ে উঠবে পৃথিবী। সবাই নিজের পরিবার এবং আত্মীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা রইল। ধন্যবাদ।
ভার্চুয়াল ঈদ পালনের কথা জানিয়েছেন ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিয়া সুমাইয়া তিনি জানান,
- আর মাএ এক দিন পর ঈদ-উল -আযহা।করনো ভাইরাসের কারনে ঈদ-উল- ফিতরের মতো এবারের ঈদ উদযাপনের স্বাভাবিক কার্যক্রম থেকে বিরত পুরো দেশ। নেই কোনো আমেজ , বসে নেই কোরবানির পশুর হাট। ভার্চুয়াল ঈদ পালন হচ্ছে। অনলাইনে হচ্ছে গরু কেনা আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আত্নীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডা ।দেখা হচ্ছে না অনেকদিন ধরে সেটা ভেবেও মন খারাপ হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য দৈনন্দিন জীবনযাপন অসহনীয় হয়ে উঠেছে। আশায় আছি তাড়াতাড়ি করোনা মহামারী শেষ হয়৷