একটা থেরাপি বাঁচাবে জবি শিক্ষার্থীর বাবাকে

জবি প্রতিনিধিঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) এর মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তরুণ সাহার বাবা তাপস সাহা দীর্ঘদিন যাবৎ মুত্রথলির ক্যান্সারে আক্রান্ত রয়েছেন। ৫ টি কেমোথেরাপি সম্পন্ন করা হলেও শেষ ১টি কেমোথেরাপি অর্থের অভাবে আটকে রয়েছে। থেরাপির জন্য প্রয়োজন প্রায় ২৫,০০০ টাকা।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তরূণ সাহা ঢাকায় টিউশনি করে চলেন। তাদের ৪ সদস্যবিশিষ্ট পরিবার। তরুণ তার নিজের খরচে পড়াশুনা করে। তার বাবার একটি ছোট দোকান রয়েছে। এই দোকানের মধ্যমেই তাদের সংসার পরিচালিত হতো। এখন তার বাবার এ অবস্থায় দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছে তরুণ সহ তার পুরো পরিবার।

তরুণ সাহার সাথে কথা বলে জানা যায়, তার বাবা তাপস সাহা গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকেই অসুস্থ ছিলেন। ঢাকায় চিকিৎসা দেয়ার পরও সুস্থ না হওয়ায় তার বাবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার পর ঢাকায় এনে কেমোথেরাপি দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত ৫ টি থেরাপি সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্তু অর্থের সংকটের জন্য শেষ থেরাপি টি প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।

তরুণ সাহা তার বাবাকে বাঁচাতে সকলের কাছে অনুরোধ করে বলেন, আমার বাবা একজন সৎ নিষ্ঠাবান বাক্তি। গত ৭ মাস আগে ওনার মুত্রথলিতে Cancer ধরা পরে। তার চিকিৎসা ব্যয় বাবদ প্রচুর টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। একটা মধ্যবিত্ত পরিবার, আর এতো টাকা অনেক বড় একটা বিষয়। আমাদের পরিবারে আয় করার আর কেউ নেই । আয় করার মানুষটা রোগে ভুগছে। এখনো বাবার শেষ কেমোথেরাপির জন্য প্রায় ২৫,০০০ টাকার প্রয়োজন। করোনার এ সময়ে কোথাও থেকে টাকা জোগাড় করতে পারছি না। জানি না আর কেমোথেরাপি দিতে পারব কিনা।

তরুণ সাহা আরো বলেন, অভাবের সংসারে বাবার চিকিৎসার জন্য বাড়ির শেষ সম্বলটুকু ও বিক্রি করে দিয়েছি। আমি আপনাদের কাছে আমার বাবার চিকিৎসার জন্য সাহায্য চাই। আপনারা সকলে সহযোগিতা করলে আমি আমার বাবাকে আবার বাবা বলে ডাকতে পারবো। আমার বাবার কিছু হলে আমাকে আমার পরিবারের হাল ধরতে হবে। আমার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য মহোদয় ও সমাজের বিত্তশালীদের সাহায্য ছাড়া বাবার চিকিৎসা করানো সম্ভব না। এখন আপনাদের সাহায্যই আমার বাবার চিকিৎসার শেষ ভরসা।

যোগাযোগঃ
তরুন সাহা
01725556529
সাহায্য পাঠাতেঃ
01725556529 (বিকাশ)
2671050002153 (Duch bangla bank a/c)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *