নিজস্ব প্রতিবেদক: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে গড়া সংগঠন “বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা,এস এম বাদশা মিয়ার উপর নামাজরত অবস্থায় হামলা চালানো হয়৷
শনিবার (১ আগস্ট) সকাল ৯ ঘটিকায় নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানার কলাবাড়ীয়ায় গ্রামের মসজিদে ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করতে গেলে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও স্মৃতি পাঠাগারের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা, এস এম বাদশা মিয়া এবং তার পরিবারের অন্য সদস্যদের উপর হামলা চালানো হয়৷
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও বহু হত্যা মামলার আসামী হাসমত তালুকদার এবং তার বাহিনী নিয়ে এই হামলা চালায়। দেশীয় অস্ত্র (রামদা, সড়কি,ভেলা এবং বন্দুক) নিয়ে আতর্কিত ভাবে এ হামলা চালানো হয়৷
হামলার শিকার ডা,এস এম বাদশা মিয়া বলেন, আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা ঈদের নামাজ আদায় করতে স্থানীয় মসজিদে গেলে কুখ্যাত সন্ত্রাসী হাসমত তালুকদার এবং তার বাহিনী আমি এবং আমার পরিবারের উপর হামলা চালায়৷ এছাড়া কলাবাড়ীয়া গ্রামের মোঃ তরিকুল ইসলাম শেখ কে দিন-দুপুরে গুলি করে হত্যা করার নৈপথ্য কারিগর হাসমত তালুকদার ও তার বাহিনী। এলাকার কান্দুরি গ্রামের মোঃ আবুল কে রাতের আধারে খুন করার অভিযোগ রয়েছে এই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে অসংখ্য ডাকাতি মামলার অভিযোগও ।
স্থানীয়রা জানান- ইউপি মেম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এর সাধারন সম্পাদক শের আলী কে রামদা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে জখম করে, আওয়ামীলীগ নেতা আবুল খায়ের সরদার এর পায়ের রগ কেটে দেয় দিনদুপুরে। তকুল সরদার এর বসতবাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় এবং মারপিট করে। রিজ্জাক সরদার মশিউর সরদার এর বাড়ি ডাকাতি করে এবং তাঁর ছেলের বউকে ধর্ষন করে ও ছোট ছেলে বাঁধা দিতে গেলে তাকে বন্দুক দিয়ে আঘাত করলে তাঁর মাথা ফেটে যায়।
ভুক্তভোগীরা জানায়- তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ থাকলেও বারবার প্রসাশনের নাকের ডগা দিয়েই রেহাই পায় হাসমত তালুকদার এবং তার বাহিনী । বারবার গ্রেফতার হবার পরও মুহুর্তেই মিলে যায় মুক্তি, জন্ম নেয় নতুন কোন অপ্রত্যাশিত ইতিহাসের। তবে কারা যোগাচ্ছে এই মদদ, কতটা কত রক্তের স্রোত প্রবাহিত হলে মুক্তি মিলবে – প্রশ্ন তাদের।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নড়াগাতী থানার ওসি জানান- ‘ তারা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। গুলি বিনিময় এর ঘটনা ঘটেছে কিনা; এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গুলাগুলির কোনো ঘটনা এখানে ঘটেনি। তবে এখানে দুই পক্ষেরই দাবি ; অপরপক্ষ গুলি চালিয়েছে। ‘