স্টাফ রিপোর্টারঃ নানা অনিয়ম অব্যবস্থাপনা এবং দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে শেরপুর পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে ভারপ্রাপ্ত ডিপুটি ডাইরেক্টর পিষুষ চন্দ্র সূত্রধর এর রিরোদ্ধে। অভিযোগ আছে তথ্যবহুল সংবাদ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ইতোপূর্বে প্রকাশের পরও বহালতবিয়তে আছেন শেরপুর পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের এই ভারপ্রাপ্ত ডিপুটি ডাইরেক্টর পিষুষ চন্দ্র সূত্রধর।
জানা যায় তিনি ২০০৬ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত একই অফিসে যোগদান করেন মেডিকেল অফিসার হিসেবে। পরবর্তীতে ২০১৬ সাল থেকে অদ্যবদি পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত ডিপুটি ডাইরেক্টর হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন শেরপুর জেলায়।বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং তার অফিস সহকর্মীদের অভিযোগে যানা গেছে শেরপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র গৃদ্দা নারায়নপুরে নির্মান করছেন বিলাস বহুল পাঁচ তলা বাড়ি। এছাড়াও স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনের নামে শ্রীবর্দী সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় জমি সহ নামে বেনামে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন এই বিতর্কিত কর্মকর্তা।
অভিযোগ আছে শুরু থেকেই তার বিরুদ্ধে সহকর্মী,মাঠ কর্মি সহ ভুক্তভোগীদের নানা অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও রহস্যজনক কারণে তিনি স্বপদে বহাল থেকে যান। এ ব্যাপারে নানা জনের অভিমত এই অসাধু কর্মকর্তার খুঁটির জোর কোথায়? এই প্রতিষ্ঠানের বিপুল অনিয়মের মধ্যে গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে অত্র প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী কর্মকতার মৃত্যুবরন অথবা এল.পি.আরে গেলে পেনশনের টাকা উত্তোলন করতে উৎকোচ ছাড়া পাওনা বুঝে পায়নি ভুক্তভোগী পরিবার। আর এ কাজে তিনি ব্যাবহার করেন তারই অধিনস্থ বিশ্বস্ত কিছু কর্মচারীদের।
তারকাছে যেন অনিয়মই নিয়মে পরিনত হয়েছে।উল্লেখ্য তার অফিসের একাধিক কর্মকর্তা বিভিন্ন অনিয়মের সাথে যুক্ত এমন অভিযোগ এলেও তিনি কোন ব্যাবস্থা তো নেনইনি উপরন্তু প্রতিবাদকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় হয়রানী মুলক শোকজ দেওয়ার নজির বিহীন রেকর্ড স্থাপন করেছেন। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর শেরপুরের প্রতিটি সেক্টরে তার অদক্ষতা ও দুর্নীতির কারণে মুখ থুবরে পড়েছে এই সেবামুলক প্রতিষ্ঠানটি।
ফলশ্রুতিতে সুবিধাবঞ্চিত জনসাধারণের নাগরিক অধিকার এখানে বিলুপ্তির পথে। লক্ষলক্ষ টাকা খরচে মা ও শিশু সদনে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার নির্মাণ করলেও ইহা কার্যত অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। কাদের স্বার্থে এমন অপতৎপরতা তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয় অভিযোগ আছে রাষ্ট্রের লক্ষলক্ষ টাকার ওষুধ ক্রয় না করেই ভূয়া বিল বাউচার করে তা হালাল করার জন্য অধিনস্থ কর্মকর্তাদের সাক্ষর গ্রহন করার নজীরও ইতোপূর্বে স্থাপন করেছেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা ভূয়া বিল বাউচারে সাক্ষর না করায় পুরো বাজেট মন্ত্রনালয়ে ফেরত চলে যায় পরবর্তীতে সাক্ষর না করা ঐ কর্মকর্তাকে উল্টো শোকজ নোটিশ দিয়ে হেনস্থা করেন যা দুর্নীত ও স্বেচ্ছাচারিতার সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে।
গারো পাহাড় অধ্যুষিত অবহেলিত জনপদ শেরপুরের তৃনমুল গর্ভবতী নারীরা যখন চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত তখন তাদের জন্য আসা অনুদান শুধুমাত্র এই অভিযুক্ত অসাধু কর্মকর্তার জন্যই পরপর তিন বার রাষ্ট্রিয় কোষাগারে ফেরত চলে যায়। যা শেরপুরের সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে যানা যায় শহরের একাধিক প্যাথলজির সাথে যোগসাজশে এখানে সিজার বা টেষ্ট না করেই বিভিন্ন প্রাইভেট হসপিটাল ও ক্লিনিকে রেফার্ড করে দেন।সেখান থেকেও মোটা অংকের কমিশন বানিজ্য করেন এই অসাধু কর্মকর্তা।যার প্রধান সহযোগী মা ও শিশু সদনের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত উপজেলা মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক) ডাঃ মুস্তাফিজুর রহমান।ইতিমধ্যেই এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগে দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তবে বন্ধ হয়নি এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার অপতৎপরতা।
এ বিষয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর শেরপুরের ভারপ্রাপ্ত ডিপুটি ডিরেক্টর পিযুষ চন্দ্র সূত্রধর বলেন গৃদ্দা নারায়নপুরের বাড়িটি আমার শশুর আমার স্ত্রীকে দিয়েছেন এবং তদন্তাধীন অনিয়ম গুলোর নিঃস্পত্তি এখনো হয়নি আর আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলোর কোন ভিত্তি নেই।