“১৪ কর্মদিবসেও মেলেনি কম্পিউটার চুরির তদন্ত রিপোর্ট; কে আসল চোর?”

 

 

রায়হান রফিক চৌধুরী

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

 

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার হতে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরির ঘটনায়, গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ নিয়ে শুরু হয়েছে টাল-বাহানা। গত ৯ই আগস্ট গঠিত তদন্ত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্য প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হলেও, ১৪ কার্যদিবসেও মেলেনি প্রতিবেদন। এরইমধ্যে, তদন্ত কমিটিকে সকল প্রশ্নের উর্ধ্বে রাখতে কমিটির সদস্য “নজরুল ইসলাম হীরা (সহকারী রেজিস্টার)”-কে প্রত্যাহার হয়েছে এবং সেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার ইস্কেনদার আলী, সংযুক্ত করা হয়েছে নতুন দুই সদস্য শিক্ষার্থী উপদেষ্টা ড. মোঃ শরাফত আলী ও উপ-পরিচালক(পউও) তুহিন মাহমুদ কে।

এদিকে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা তদন্ত প্রতিবেদনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার প্রচেষ্টা চলছে বলে মনে করছে এবং প্রশ্ন তুলছে কমিটির সক্ষমতা নিয়ে।
এবিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান ও আইন অনুষদের ডীন, মোঃ আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এবিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। একই প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. শাজাহান বলেন, এই মুহুর্তে তদন্ত নিয়ে কোনো বক্তব্য দেওয়ার সময় আসেনি, তদন্ত শেষেই জনসম্মুখে তা প্রকাশ করা হবে। তিনি আরও বলেন তদন্তের সময় দশ কার্যদিবস বৃদ্ধি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ঈদুল আজহার ছুটিতে বশেমুরবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থগার থেকে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি হয়। এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ৩৪ টি কম্পিউটার উদ্ধার করেছে এবং ৭ জনকে আটক করেছে। আটককৃতদের মধ্যে মাসরুল ইসলাম পনি বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থী। আর এই শিক্ষার্থীকে ১৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের জন্য সুপারিশ করেছিলেন তদন্ত কমিটি হতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত মোঃ নজরুল ইসলাম হীরা। এছাড়া উক্ত শিক্ষার্থীকে গ্রেফতারের সময়েও পনির সাথে ছিলেন মোঃ নজরুল ইসলাম হীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *