১৫০০ বন্যাকবলিত পরিবার পেল কামরুল হাসান রিপনের ত্রাণসামগ্রী

স্টাফ রিপোর্টার: বন্যাকবলিত অসহায় হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন কামরুল হাসান রিপন। ঢাকা ০৫ আসনের ৬৩ এবং ৬৯ নং ওয়ার্ডের পর এবার ৭০ নং ওয়ার্ডের বন্যার্তদের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে হাজির হন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) বিকেল ৪টায় ডেমরা থানার শূন্যাটেংরা এলাকার ১৫০০ পরিবারের পাশে দাঁড়ান আসন্ন ঢাকা-০৫ আসনের উপ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী এই নেতা।

একদিকে করোনা ভাইরাস, অন্যদিকে বন্যা দুইয়ে মিলে দিশেহারা হয়ে পড়ে হতদরিদ্র এবং নিম্ন-আয়ের মানুষেরা। তবে শেখ হাসিনার নির্দেশে এই দুর্যোগে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন। করোনার দুর্যোগকালে ব্যক্তিগত উদ্যোগে মেহনতি মানুষের পাশে দাঁড়ান তিনি।

করোনা ভাইরাসের প্রভাব বিস্তারের শুরু থেকেই নিজের জীবন বাজি রেখে মাঠে থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের এই শীর্ষ নেতা। অসহায়-মেহনতি, কর্মহীন, সুবিধাবঞ্চিত, খেটে-খাওয়া সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ পৌছে দিয়েছেন।
করোনার পর বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নেন এই মানবিক নেতা। ঈদের আগে ঢাকা-০৫ আসনের যাত্রাবাড়ী থানার ৬৩ নং ওয়ার্ডের কাজলারপাড় এলাকার পানিবন্দী ১৫০০ পরিবারে মাঝে ঈদ উপহার দিয়ে আসেন তিনি। এরপর ৬৯ নং ওয়ার্ডের রাজাখালী ও তার পাশ্ববর্তী এলাকার পানিবন্ধী ২০০০ পরিবারের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী নিয়ে হাজির হন কামরুল হাসান রিপন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ ডেমরা থানার ৭০ নং ওয়ার্ডের শূন্যাটেংরা এলাকার বন্যাকবলিত মানুষের পাশে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, আলু, লবন ইত্যাদি প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ মহানগর দক্ষিণের সভাপতি। ত্রাণসামগ্রী বিতরণ শেষে কামরুল হাসান রিপন বলেন, ‘করোনার মহামারীর শুরু থেকেই শেখ হাসিনার নির্দেশে মাঠে থেকে কাজ করেছি। দিনরাত পরিশ্রম করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। একটা দিনের জন্যও নিজেকে বিরত রাখিনি। এখন বন্যার সময়ও মানুষের পাশে আছি। সামর্থের সর্বোচ্চটা দিয়েই মানুষের জন্য কাজ করছি।’
করোনার প্রভাব বিস্তার করলে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ থেকে শুরু করে বিনামূল্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সুরক্ষা মাস্ক বিতরণ করেন কামরুল হাসান রিপন। এরপর লকডাউন ঘোষণা করলে অসহায়-সুবিধাবঞ্চিত, কর্মহীন, খেটে-খাওয়া মানুষের মাঝে ত্রাণ-সামগী বিতরণ করেন তিনি। এই সময়ে ৩০ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের এই কাণ্ডারী। এরপর পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরে ১০ হাজার পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার পৌছে দেন তিনি। সেইসঙ্গে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২৫ হাজারেরও বেশি রোজাদার ব্যক্তির মাঝে ইফতার বিতরণ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সফল এই সভাপতি। সদ্য সমাপ্ত ঈদ-উল-আযহার আগেও ঢাকা-০৫ আসনের ৫০০০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার পৌছে দেন কামরুল হাসান রিপন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *