জবি প্রতিনিধিঃ সারাদেশে চলমান ধর্ষণের ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শাখা ছাত্রলীগের ব্যানারে সাধারণ কর্মীদের ডাকা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচী পন্ড হয়েছে পদপ্রত্যাশী নেতাদের বাঁধায়। এঘটনায় এক সাধারণকর্মীকে শিবির ট্যাগ দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) বিকালে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনের ডাক দেই জুনিয়র ও সাধারণ কর্মীরা। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত ( বিশ্ববিদ্যালয় ১২ ব্যাচ) ছাত্রলীগ কর্মীরা কর্মসূচী আহ্বান করে। এলক্ষে গতকাল বুধবার (৭ অক্টোবর) রাত থেকে ফেসবুকে প্রচার-প্রচারণা চালাতে থাকে তারা।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, প্রোগ্রামের সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাত্রলীগ কর্মীরা ক্যাম্পাসে একত্রিত হতে শুরু করলে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হন শাখা ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ পদপ্রত্যাশী সাবেক সহসভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম টিটোন ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম ফরাজি। কর্মসূচী করতে তারা কর্মীদের বাঁধা দেয়। এসময় তাদের সাথে উপস্থিত ছিলো ইব্রাহিম ফরাজীর কর্মী ১০ ব্যাচের রাইসুল সজীব ও ভর্তিপরীক্ষায় জালিয়াতিতে অভিযুক্ত ১১ ব্যাচের রবিউল ইসলাম রবি। কর্মসূচীতে অংশ নিতে আসা কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার সময় এক কর্মীকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করা হয়। ভুক্তোভোগী শিক্ষার্থী শিবলী হায়াত খান বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী।

ঘটনাকালে উপস্থিত ছাত্রলীগ কর্মীরা জানান, ইব্রাহিম ফরাজি শিবলীর মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে, মুঠোফোন ঘাটাঘাটি করে তেমনকিছু না পেয়ে ফেসবুকে ঢোকে। শিবলীর ফেসবুকে কেনো আওয়ামীলীগ সংক্রান্ত পোস্ট নেই জানতে চেয়ে তাকে শিবির বলে অ্যাখা দেন। এরকিছুসময় পর এসময় ইব্রাহিম ফরাজির সাথে থাকা তার কর্মী রাইসুল সজীব শিবলীকে সবার সামনে থাপ্পড় মারে।
পরে এঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অনেককেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তোভোগী ছাত্রলীগকর্মী শিবলী হায়াত খান বলেন, উনি (ইব্রাহিম ফরাজি) আমাদের সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমাকে শিবির বলে অপবাদ দেয় ও পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার কথা বলে। এসময় উনার কর্মী রাইসুল ইসলাম সজীব আমার চুল ধরে টান দিয়ে প্রায় উঁচু করে ফেলেন। এরপর কিছুসময় পর আমরা যখন বাসায় ফিরছি সজীব আমাকে সবার সামনে আবার থাপ্পড় মারে।আমি ৫ বছর ধরে ছাত্রলীগ করছি, আমার পুরো পরিবার আওয়ামীলীগ করে তারপরও আমাকে শিবির ট্যাগ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ইব্রাহিম ফরাজির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি লাঞ্চিত বা শিবির ট্যাগ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “ছাত্রলীগের ব্যানারে তারা বিক্ষোভ মিছিল করতে চাইছিলো; কিন্তু কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে এ বিষয়ে আমাদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তাই আমরা মিছিল করতে বাঁধা দেয়। আর তাদেরকে শিবির বলা হয়নি; বাধাঁ দেওয়ার পরও তারা যখন অন্য ব্যানার দিয়ে কমান্ড না মেনে মিছিল করতে চাইছিলো, তখন সুধু বলা হয়েছে তোমরা ছাত্রলীগের কে?”