আরমান হাসান: শ্রমিকলীগ নেতা আব্দুর রহিম বানু হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে ভায়াডাঙ্গা বাজারের প্রধান সড়কে এক ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১০ ঘটিকায় শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা বাজারে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিকলীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ ও বীরমুক্তিযুদ্ধাদের আয়োজনে ভায়াডাঙ্গা বাজারে এ মানববন্ধন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মানবন্ধনে নেতারা বানু হত্যার দ্রুত বিচার ও হত্যাকারীদের ফাঁাসির দাবী করেন।
নিহত শ্রমিকলীগ নেতা আব্দুর রহিম বানু রাণীশিমূল ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের জাতীয় শ্রমিকলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। গত সোমবার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত আনুমানিক ৩ ঘটিকায় রাতের অন্ধকারে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বিত্তরা। শ্রীবরদী উপজেলার রাণীশিমূল ইউনিয়নের বিলভরট গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুর রহিম বানু মিয়াকে ময়মনশিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে (মঙ্গলবার) বিকেল ৪ ঘটিকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ সময় রানীশিমুল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মেজবা উদ্দিন বখতিয়ারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ওয়াছেক বিল্লাহ বিল্লাল, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ, সিনিয়র সহসভাপতি এমএ মোনায়েম, সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগে সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার আমান উল্লাহ, কৃষকলীগের আহবায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান, যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন, স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক মমিনুল ইসলাম মমিন, ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মনতাছির আহমেদ মিশু ও নিহত বানু মিয়ার ছেলে রমজান আলী প্রমূখ। মানববন্ধনে নিহত বানুর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি তুলে বক্তারা বলেন, গত ২০ অক্টোবর রাতে ফিল্মী কায়দায় ঘরের ভিতর প্রবেশ করে বানুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজো এই হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার হয়নি। অবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতার করা না হলে আরো কঠোর কর্মসূচীর ঘোষণা দেন বক্তারা। এতে নিহততের স্বজনরাসহ আওয়ামীলীগ ও অংগসংগঠনের ৫ শতাধিক লোক অংশ গ্রহণ করেন। পরে নিহতের রুহের মাহফিরাত কামনা করে টেংগড়পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছে জানা যায়, সোমবার রাত আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় নিহতের স্ত্রী প্রাকৃতিক কাজে বাহিরে গেলে; এই সময় ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় বানু মিয়াকে কুপিয়ে যখম করে দূর্বিত্তরা। তার স্ত্রী ঘরে ঢুকার সময় স্বামীর রক্তাক্ত দেহ পরে থাকতে দেখেন। ততক্ষনিকভাবে ময়মনশিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে (মঙ্গলবার) বিকেল ৪ ঘটিকায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। স্থানীয় ব্যক্তিরা আরো জানান, ‘নিহত ব্যক্তি তার নিজ বাড়িতেই কাঠমিস্ত্রীর কাজ করতেন। তিনি অত্যন্ত সহজ সরল মানুষ ছিলেন; কখনো কারো সাথে ঝগড়াও করতেন না। যেখানে ঝগড়া-মারামারি থাকতো তার আশেপাশেও যেতেন না।’