মো.মনির হোসেন: সভ্য মানুষ হিসাবে সমাজে বেঁচে থাকার জন্যে পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।একটি সুন্দর পরিবেশ আমাদের প্রতিদিনের কাজকর্মকে গতিশীল করার পাশাপাশি জীবনযাত্রার মানকে উন্নত করে তোলে। বেঁচে থাকার অন্যতম হাতিয়ার এই পরিবেশ যদি দুর্গন্ধে ভরপুর হয় তাহলে মানুষের কষ্টের সীমা থাকেনা।কথা বলছিলাম পুরান ঢাকা নামে খ্যাত মাতুয়াইল,কাজলারপাড়,ডেমরা থানার চারপাশের অঞ্চলগুলোকে নিয়ে।শীতের প্রকোভ বাড়ার সাথে সাথে পরিবেশে অতি মাত্রায় দুর্গন্ধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে প্রচন্ড দুর্গন্ধের মধ্যে দিয়ে পথ চলতে হয়।অনেকে মাক্স পরিধান করার পাশাপাশি নাকে মুখে রুমাল চেপে ঘর থেকে বের হতে হয় তবু অসহনীয় দুর্গন্ধ থেকে রেহায় মিলছে না।শ্রমজীবী মানুষ যারা রয়েছে বিশেষ করে রিকশা চালক, সবজি বিক্রেতা, দোকানদার সহ অন্যান্য পেশাজীবীর মানুষ যারা ২৪ ঘন্টার বেশির ভাগ সময় বাহিরে থাকতে হয় , তাদের জন্যে এই দুর্গন্ধ মরণব্যাধি হিসাবে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখার পাশাপাশি ময়লা রাখার প্রজেক্ট থেকে এই দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়ে বাতাসে চারদিক ছড়িয়ে পড়ে।কাজলার পাড় এলাকার কলেজ ছাত্র মো. রিফাতের সাথে কথা বলে জানা যায় ,প্রতিদিন সন্ধ্যার পর দুর্গন্ধের পরিমান বাড়তে শুরু করে। অনেক সময় ঘর থেকে বের হওয়া যায় না।
মাতুয়াইল ময়লা প্রজেক্টে কর্মরত কয়েকজন পরিষ্কারক লোকের সাথে কথা বলে জানা যায়, পরিষ্কারক লোকসংখ্যা কম হওয়ায় প্রতিদিন শহরে বিভিন্ন জায়গা থেকে ময়লা ও বজ্যের গাড়ি আসার পর অল্প সময়ে তাদের পক্ষে বজ্য নিষ্কশন করা কঠিন হয়ে পড়ে।যার ফলে বাতাসের সাথে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।অপরদিকে বিশ্বব্যাংক প্রকশিত এক প্র্রতিবেদনে বলা হয়েছে,বাংলাদেশে যত মানুষ মারা যায় তার ২৮ শতাংশ পরিবেশ দূষণ জনিত রোগেরে কারণে হয়ে থাকে।বায়ু দূষণের কারণে শিশুদের বুদ্ধি কমে যায়,গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভপাত ও মৃত শিশু প্রসবের ঝুঁকি বেড়ে যায়।বায়ু দূষণের ফলে চোখ ও শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতি হয়।করোনা অতিমারী মোকাবেলার পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে,তাহলে একটি সুন্দর বসবাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।