
দেড় যুগ ধরে সেরা ফুটবলারদের তালিকায় আছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। লিওনেল মেসির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখন সেরাদের তালিকায় টিকে রয়েছেন ৩৬ বছর বয়সেও। কঠোর পরিশ্রমকে নিজের সেরা গুণ বলে মানেন। এখনো দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করেন। সে জন্য বয়সে অর্ধেক তরুণদের সঙ্গে পাল্লা দেন, ফিটনেসের পরীক্ষায় হারিয়ে দেন।
গতকাল গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডের শতাব্দীর সেরা ফুটবলার হয়েছেন রোনালদো। পুরস্কার জেতার পর আরও একবার সবাইকে পরিশ্রমের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। পরিশ্রম ছাড়া এ পর্যায়ে যে টিকে থাকা সম্ভব নয় সেটাও জানিয়েছেন। নিজেকে ফিট রাখার জন্য কতটা ত্যাগ স্বীকার করেন রোনালদো, সেটা তো সবাই জানেন।
এবার জানা গেল স্বাস্থ্য সচেতন রোনালদোর কারণে তাঁর বাচ্চারা কতটা তটস্থ থাকে। বাবার কারণে চকলেট খেতেও ভয় পায় জুনিয়র-মাতেওরা!বিজ্ঞাপন

নিজেকে আরেকটু শানিত রাখতে সব সময় অনুশীলনে ব্যস্ত রাখেন কিংবা জিম করেন রোনালদো। খাদ্যাভ্যাসেও কোনো ঢিল দেন না। তাঁর বাসায় দাওয়াত খেতে গিয়ে কী বিপত্তিতে পড়েছিলেন, সে গল্প সাবেক সতীর্থ প্যাট্রিস এভরা মজা করেই বলেন। খাওয়ার টেবিলে স্বাস্থ্যকর সালাদ, একটু মুরগির মাংস আর পানি ছাড়া কিছু দেখেননি। কারণ, ডায়েটেশিয়ানরা শরীর ফিট রাখতে রোনালদোর জন্য এই খাদ্যতালিকা ঠিক করে দিয়েছিলেন।
গতকাল স্বাস্থ্য সচেতন রোনালদোর রূপ দেখা গেল আরেকবার। ফুটবলের আগামী প্রজন্ম নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নিজের ছেলের প্রসঙ্গ টেনেছেন রোনালদো। ১০ বছর বয়সী রোনালদো জুনিয়র জুভেন্টাসের একাডেমিতে খেলে। নিজের বয়সভিত্তিক দলে গোলবন্যা বইয়ে দিচ্ছে জুনিয়র। আগামী প্রজন্মের তারকা নিয়ে বলতে গিয়ে রোনালদো বলেছেন, ‘ভবিষ্যত তো বাচ্চারাই। আমার ছেলেকে দেখি এবং সে আমার মতো হতে চায়। কিন্তু ওর এখনো বহু দূর যেতে হবে।’

জুনিয়র ছাড়া আরও তিন সন্তান আছে রোনালদোর। তিন বছর বয়সী ছেলে মাতেও এবং দুই কন্যা ইভা ও এলানা। নিজেকে ফিট রাখতে রোনালদো কতটা সচেতন, সেটা বোঝা যায় সন্তান পালন দেখে, ‘আমি ওর সঙ্গে মাঝেমধ্যে কড়া আচরণ করি। কারণ, সে মাঝেমধ্যে কোকাকোলা বা ফান্টা খায়। এটা শরীরের জন্য ভালো না। সে যখন চিপস বা ভাজাপোড়া খায়, তখনো রাগ করি, বকা দিই। আমার এসব পছন্দ না। আমার চার সন্তান এবং আমি তাদের ভালো চাই। আমার ছোট বাচ্চারাও চকলেট খাওয়ার সময় আমার দিকে ভয়ে ভয়ে তাকায়। বাবা হিসেবে আমাকে শক্ত থাকতে হবে।’
জুনিয়রের মধ্যে বড় ফুটবলার হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন রোনালদো। কিন্তু সাফল্যের পথটা যে কঠিন সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘আমার বড় ছেলের মধ্যে সম্ভাবনা আছে। সে বেশ বড়সড়, দ্রুতগতির এবং ভালো ড্রিবল করে। কিন্তু এর জন্য অনেক নিবেদন থাকতে হয়, অনেক কঠোর পরিশ্রম। আমি ওকে ফুটবলার হতে চাপ দেব না।। যদি জিজ্ঞেস করেন, সে ফুটবলার হোক সেটা চাই কি না, হ্যাঁ চাই। কিন্তু সে যা চাইবে তাই হবে।’