জবি প্রতিনিধিঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির (জেএইউডিএস) আয়োজনে সম্প্রতি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে “১৫ তম আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা”। বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ এই আয়োজনের বিতর্ক নিয়ে উদ্ভব হয়েছে নতুন বিতর্ক। তার্কিকরা বিচারকাজ নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে)। অভিযোগের তীর যেন আয়োজকদের লক্ষ করেই।
গত ৩০ এবং ৩১ অক্টোবর জেএনইউডিএস এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় “১৫ তম আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা”। ৩৪ টি দল নিয়ে সংসদীয় পদ্ধতির এই আয়োজনে গ্রুপ পর্বের বিতর্ক শেষে কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তীর্ণ হয় ৮ টি দল। এই দলগুলির মধ্যে প্রথম থেকে চতুর্থ অবস্থানে থাকা দলগুলি কাকতালীয়ভাবে হেরে যায় কোয়ার্টার ফাইনালের বিতর্কে। হেরে যাওয়া দলগুলির মধ্যে দুটি দল বিচারকার্য নিয়ে চরম অসন্তোস প্রকাশ করে লিখেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। তাদের অভিযোগ সবই ছিল পূর্বপরিকল্পিত।
এদিকে হেরে যাওয়া দলগুলো আয়োজকদের জানিয়েও পায়নি কোন সদুত্তর। তাদের অভিযোগ কাছের মানুষদের হাতে ট্রফি তুলে দিতেই এই আয়োজন। সবমিলিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সংগঠনের মান নিয়ে।
এবিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশকারীদের করে বিতার্কিক নাজমুল ইসলাম মুন্না বলেন, আমরা বিচারকদের রায়ে সন্তুষ্ট না। আমাদের পূর্বপরিকল্পনা মাফিক হারানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা সংগঠন থেকে এমনটা আশা করিনি।অতীত জেরে এমন বিচারকার্য পরিকল্পত ছিল।
অন্য একজন বিতার্কিক শারমিন সুলতানা নিশি বলেন, আমাদের হাউজের ক্ষেত্রে বিচারকরা তাদের ব্যস্ততা দেখিয়েছেন। আর একজন বিচারক আমাদের যে সমস্যা তা তিনি ক্লিয়ার করতে পারেননি।ব্যাপারটা এমন ছিলো যে বিচারকরা হয়ত শুরু থেকে আমরাই হারবো এমন একটা মনোভাব ধরে নিয়েছিলেন। সেক্রেটারীির কাছে জানতে চেয়েও কোন উত্তর পায়নি।
তবে বিতার্কিকদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করছেন জেএনইউডিএস-এর সাধারন সম্পাদক দ্বীন ইসলাম, তিনি বলেন,এমন কোনো কিছুই হয় নি আর কারও এমন মনে হলে আমাদের অভিযোগ জানাতে পারতো কিন্তু কেউ জানায়নি।
উল্লেখ্য আজকে আয়োজিত হবে বিতর্কিত এই বিতর্কটির ফাইনাল অনুষ্ঠান।
আআস/