তোমাকে আমার মনে পড়ে নিশি কাব্যের আড়ালে।
তোমার কথা মনে আঁকিবুকি কাটলে
আমি উন্মুক্ত আকাশকে নিলিপ্ত হয়ে দেখি।
ব্যাকুল সমিরনে যদি হঠাৎ স্বপ্নভঙ্গ হয়
তাতেও তো আমার নেই কো ভয়
তবে কেন সঙ্গাহীন মেঘাচ্ছন্ন চাদর আমায় আবৃত করে,
মেঘপুঞ্জের মস্তকে অবাক শিহরণ দেখেছো?
খোলা চারণে শাবকের দুগ্ধপানের দৃশ্য আমায় ব্যাকুল করে।
দূর্বা ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দু,
কর্দমাক্ত রাস্তায় নয়ন জলে থেতলিয়ে যাওয়া বকুল ফুল
ভুলিয়ে দেয় তোমার অনুপস্থিতি।
সিগারেটের ধোঁয়া, ভাঙা চশমা, ছেড়া জুতা-
সবাই ক্ষয়ে যায়
নতুন আসে – পুরাতন হয়
বয়সের সন্ধিক্ষণে,
একটু একটু করে মৃত্যু মুখে পতিত হওয়া আমি,
ভৌগলিক দোষণে অচেনা পথ
নিষিদ্ধ রাজনীতির বৈতর্কিক মত্
আমাকে ভুলিয়েছে প্রেমবাদী রাষ্ট্র
আমি তো প্রেমিক নই
একজন নাট্যমোদী-বহিয়াছি ভালোবাসার কাফেলা
তবুও তোমায় দেখি-
যার কাজল, স্নিগ্ধ কুন্তল-
নবদিনের মতোই নতুন!
আমি অপেক্ষা করি-আবার করিনা;
অপেক্ষা মৃত্যুর মতই চাহিদাহীন, তর্ক হীন,অভিযোগহীন, সুন্দর,স্নিগ্ধ।
এইতো — আর কটা দিন।
তখন আমার অন্তিম সকালের যাত্রী হইও না।
আমি আর ফিরবো না।
লেখক: শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়