আরমান হাসান: রাস্তার উপর এক হাঁটু কাদা। তার মধ্যে আবার কোথাও জমে রয়েছে পানি। এই অবস্থাতেই রাস্তায় বেরিয়ে বাজার করতে হচ্ছে কর্তাদের। ধান বোঝাই ভ্যান, সাইকেল, মোটরবাইক ও অটোগুলিও চলছে বিপজ্জনকভাবে। কিন্তু রাস্তার যা অবস্থা তাতে যে কোনও সময় ঘটতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা।
শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার রাণীশিমূল ইউনিয়নের তেতুঁলিয়া গ্রাম এর আব্দুল গফুর হাজীর বাড়ি থেকে হাতিবর রফিকুল মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন উত্তরে বর্ডার রাস্তা পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা এখন চলাচলের অযোগ্য।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার মধ্যে গর্ত তৈরি হয়েছে। ভোগান্তিতে রয়েছে আশেপাশের ৪ গ্রামের প্রায় ৬ হাজার মানুষ। এ ছাড়াও এখানে রয়েছে ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি এবতেদায়ী মাদ্রাসা , ১টি হাফেজিয়া মাদ্রাসা এবং ৪ টি মসজিদ , শেরপুর জেলা পরিষদ কর্তৃক প্রস্তাবিত সোনাঝুড়ি পর্যটন কেন্দ্র সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও এ অঞ্চল গাড়ো পাহাড়ে উৎপাদিত বিভিন্ন রকমের সবজি সাড়াদেশে এই রাস্তাদিয়ে সরবরাহ করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা সিহাব আহম্মেদ মুর্শিদ বলেন, ‘আমরা রাস্তায় বেরোতে পারছি না। প্রায় প্রতিদিন এ রাস্তায় গাড়ি উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। এই রাস্তায় কোনও অ্যাম্বুল্যান্স ঢুকতে পারছে না। বাধ্য হয়ে কোলে করে রোগী নিয়ে যেতে হচ্ছে হাসপাতালে। ভুক্তভোগিরা আরো জানান সড়কের এই দুরাবস্থার কারণে তারা বাজারে এবং এবাদতের জন্য মসজিদে যেতেও কষ্ট হচ্ছে। তারা আরো বলেন কৃষি প্রধান এই অঞ্চলের হাজার হাজার মন ধান উৎপাদন হয় রাস্তার এই দুরাবস্থার কারনে বাজারে ধান আনা নেওয়া যায় না। এলাকায় শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বর্ষাকালীন সময়ে তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারেনা। এই রাস্তা বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন এবং অবিলম্বে রাস্তা সংস্কারের দাবি করেন এলাকাবাসী।’
এ বিষয়ে রাণীশিমূল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ রানা বলেন, ‘রাস্তাটি পাহাড় থেকে এসেছে। এটি এল.জি.ই.ডির রাস্তা। রাস্তাটি খুবই প্রয়োজনীয় একটি রাস্তা। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ, গাড়ি রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। রাস্তাটি কাদার কারণে যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে গেছে। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দ্বাবি জানাচ্ছি।’