বাংলাদেশ ডিজিটাল সেবায় অনেক আগে প্রবেশ করলেও এখনো অনেক সেক্টরে গ্রাহকদের ডিজিটাল সেবা প্রদানে সক্ষম হয়নি। ইন্টারনেটের এই যুগে এখনো কার/ মোটর বাইকের রেজিষ্ট্রেশন এনালগ পদ্ধতিতে করতে হয় যা খুবই দুঃখজনক। এতে সময় শ্রম এবং অর্থের অপচয় হয়। গ্রাহকদের হয়রানি হতে হয়। একটি নতুন গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন করতে আপনার মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে গাড়ির নাম, সিসি, চেসিজ, ইঞ্জিন নং এবং আপনার ন্যাশনাল আই ডি কার্ড / বাথ রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার দিয়ে বি আর টি এ তে একটা মেসেজ পাঠাইলে তারা একটা কোড নাম্বার এবং গাড়ির সিসি এবং সময় ( কত বছরের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করতে চান ) অনুযায়ী টাকার পরিমান ( রেজিষ্ট্রেশন ফি) জানিয়ে দিবে। তারপর আপনি সেই কোড নাম্বারে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা বিকাশ/ নগদ/ ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করার পর জেলার কোড অনুযায়ী একটা নাম্বার আপনার নিজের মোবাইলে চলে আসবে। সেই নাম্বারই হল গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার। ঠিক এমন ডিজিটাল ভাবেই মালিকানা পরিবর্তন করারও অপশন থাকবে। সেই রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার দিয়েই গাড়ির সব তথ্য জানা যাবে। এবং একজনের নামে কতগুলো গাড়ি রেজিষ্ট্রেশন আছে সেটাও জানা যাবে। রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের সন্দেহ হলে সেই নাম্বার সার্চ করলেই সব তথ্য জানতে পারবে। এতে করে বি আর টি এ অফিসের কয়েক লক্ষ কর্মঘণ্টা কমে যাবে। জনবলের ঘাটতি থাকবে না। সরকারের রাজস্ব আয় বেড়ে যাবে। গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন করতে গ্রাহকদের বি আর টি এ অফিসে ফিজিক্যালি গিয়ে দিনের পর দিন সিরিয়াল দিতে হবে না। কোন দালালের দেখা পেতে হবে না। এমন সিস্টেম চালু করতে বিদেশ থেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের হায়ার করতেও হবে না। বাংলাদেশের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারই যথেষ্ট। শুধু বি আর টি এ এর সদিচ্ছা এবং এমন সিস্টেম চালু করার ব্যবস্থা করতে হবে। তাতে কয়েক লক্ষ গ্রাহকদের হয়রানি কমে যাবে।
এতে করে রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ব্যাতিত কোন গাড়িই থাকবে না।
লেখক:
প্রকৌশলী এম মোকাদ্দেছ বিল্লাহ ( কাওছার)
আই ই বি, এম ৪০৫৫৭.