একদিন ভোরের নরম শিশিরের মতো ঝড়ে যাব হঠাৎ
প্রিয়ার ভালবাসা, আদর, খুনসুটি, আহ্লাদি আবদার
মায়ায় যতনে তিলে তিলে গড়ে ওঠা এই সংসার
কিছুই আটকাতে পারবে না মোরে, আমি জানি,
এ অমোঘ নিয়তি ! সবাইকে যেতে হয় একদিন অকস্মাৎ !
চলে যাব লোকান্তরে চোখে নিয়ে তার তাবৎ সৌন্দর্য
তার যত্ন, আদর,প্রেম, মমতা,বন্ধুত্ব, অনুভব
মায়াবী চোখ, নরম মসৃণ হাত, এলোমেলো ভেজা চুল,
সোহাগী শাসন, আবেগী মন, রাগ, মান -অভিমান,
তার জীবন ও জগতকে দেখার উপলব্ধির প্রখরতা।
আমাকে সে দিয়েছে ক্লান্তিহীন যাপিত জীবনের স্বাদ
দিয়েছে শান্তির অবারিত স্বচ্ছ ঝর্নাধারা
দিয়েছে ঘোড়ার মতো ছুটে চলার স্বাপ্নিক গতি
প্রেমের শিকলে বন্দী থাকার চিরদিনের দাস- মনোভাব, বশ্যতা!
পৃথিবীর সমস্ত সবুজ ভিড় করে আছে তার মনে
জীবনের ভাঁজে ভাঁজে ছড়িয়ে আছে মেঘের সাদা রং
চাঁদের হাসির বান তার মুখে, চোখে নীলাভ সমুদ্র
পৃথিবীর সুরেলা পাখিদের সুর আছে তার গলায়
গোলাপের গন্ধ ছড়ায় অনুক্ষণ তার কথায় কাজে
তাই মম জীবনের পেয়ালা সাজিয়েছে সুধায় সুধায়
জীবনের উর্বরতায় ফুলে ফলে ভরে দিয়েছে আমার বসুধা!
যেখানে যেতে হবে চুপি চুপি ফেলে সব কিছু ভেঙে দিয়ে হঠাৎ এই ছন্দময় ঐকান্তিক আয়োজন
যদি বরাত জোরে সেখানে নিমন্ত্রণে ডাকে হুরের দল
সবিনয়ে বলে দেব তাদের চলে যেতে অন্য কোথাও
বলে দেব তাদের, সেই তাকে চাই আমি অসীম জীবনে
সাজিয়ে তুলতে খেলাঘর আরবার নতুন রূপে
যে জানে কীভাবে সাজাতে হয় পসরা জীবনের যুগল স্রোতে !
আমাকে যে চেনে, আমি তাকে চিনি, আছে বোঝাপড়া দারুন !
যে গড়েছে প্রেম সুধা ভরা মন যতনে মোর লাগি।
স্বর্গের অপ্সরীর রূপের অবগাহনে কী সুখ আসে এমন ?
লেখক: মোহাম্মাদ তৌহিদুল ইসলাম জুয়েল