কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি: কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের ফলইবুনিয়া গ্রামে জেলা পরিষদের পুকুরপাড়ের সরকারি ১২টি তাল ও একটি রেইনট্রি গাছ কাটা পড়েছে। এগুলো ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিকদার দেলোয়ার হোসেনের ছোট ভাই আব্দুল লতিফ শিকদার কাটিয়েছেন অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
গত রোববার স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, দুই দিন ধরে আব্দুল লতিফ শিকদারের লোকজন তাল গাছগুলো কেটে ফেলে। এর আগে ওই পুকুর পাড়ের আর একটি রেইনট্রি গাছ কাটার অভিযোগও রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মাওলানা রুস্তম আলী শিকদার বলেন, ‘লতিফ সিকদারের লোকজন অবৈধভাবে গাছগুলো কেটে নেওয়ার চেষ্টা করলে আমি বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করি।’
লতিফ সিকদার বলেন, ‘জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার উৎপল কুমারের পরামর্শ গাছগুলো কাটা হয়েছে। ২৪ জানুয়ারি তাঁকে ২৫ হাজার টাকা দিয়েছি। তিনি কাগজপত্র ঠিক করে রিসিট দেওয়ার কথা বলে আমাকে গাছ কাটতে বুঝিয়ে দিয়েছেন। সে অনুযায়ী গাছ কেটে মহা বিপাকে পড়েছি।’
জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার উৎপল কুমার বলেন, ‘আমি কাউকে গাছ কাটতে অনুমতি দেওয়ার সুযোগ নাই। টাকা নেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহীর নির্দেশে বর্তমানে সরেজমিন এসে ৬টি তাল ও একটি রেইনট্রি গাছ জব্দ করা হয়। পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাঁর কাছে রিপোর্ট দেওয়া হবে।’
পিরোজপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী রেবেকা সুলতানা বলেন, ‘জেলা পরিষদের পুকুরের পাড়ের সরকারি গাছ কাটার জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়নি। তবে টেন্ডারের প্রক্রিয়া চলছে। গাছগুলো কেউ কেটে থাকলে সরেজমিন তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’