দ্বিতীয় দিনে টিকিট সংকটে ‘রাজিয়া সুলতান’

মঞ্চে চলছে রাজিয়া সুলতান। তিন দিন ব্যাপী যাত্রাপালার দ্বিতীয় দিনে ছিল দর্শকের উপচে পড়া ভিড়। এর থেকে বোঝা যায় বাঙালি এখনো বাংলার সংস্কৃতি লালন করে।

উল্লেখ্য, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিটে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর পৃষ্ঠপোষকতায় “রাজিয়া সুলতান” নামের ঐতিহাসিক যাত্রাপালার উদ্ধোধনী মঞ্চায়ন হয় ঢাকাস্থ তেজগাঁও কলেজ প্রিন্সিপাল আব্দুর রশিদ অডিটোরিয়ামে। উক্ত মঞ্চায়নে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান। এসময় মন্ত্রী বলেন, “আমাদের সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ, আমাদের কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না।” বাংলা সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে হবে , বাংলা সংস্কৃতিকে লালন করতে হবে তরুণ প্রজন্মকে। যাত্রাপালাটি উম্মোচনে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল অত্র কলেজের থিয়েটার এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষকমণ্ডলী ও শিক্ষার্থীরা।

শিল্প সংস্কৃতি শিক্ষার অন্যতম বিশেষ বাহন। বাঙালি শিল্প- ঐতিহ্যের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হলো যাত্রাপালা।বাংলার গ্ৰাম প্রান্তরে হ্যাজাকের আলোয় যাত্রাশিল্পের নটনটীবৃন্দের মুখচ্ছবি অপার আনন্দ – বেদনায় মুখর হয়ে উঠতো। কিন্তু এসবই এখন অতীত। বর্তমানের আকাশ সংস্কৃতির নেতিবাচক প্রভাবের কারণে এবং যুগচাহিদার পরিবর্তন যাত্রাপালার মূল ধারাটি আজ বন্ধের পথে। যাত্রাশিল্পের মূল ধারাটি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিবিধ পরিকল্পনা গ্ৰহন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তেজগাঁও কলেজ প্রিন্সিপাল আব্দুর রশিদ অডিটোরিয়ামে বিখ্যাত “রাজিয়া সুলতান” মঞ্চায়ন করা হয়। যাত্রাপালাটি ০২ মার্চ ২০২২ তারিখেও একই মঞ্চে মঞ্চায়ন করা হবে জানান দায়িত্বরত সূত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *