আমিনুল ইসলাম: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় নেওয়ার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা। প্রশ্নফাঁস, কেন্দ্রদখল সহ দুর্নীতিমুক্ত পরীক্ষা নেওয়া নেওয়ার দাবিতে সাধারণ ছাত্রসমাজের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (২১ মার্চ) বিকেল ৩ ঘটিকায় মিরপুর-২ এর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এর সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ‘জেলা পর্যায়ে পরীক্ষা নেওয়ার খবরে আমরা চরমভাবে হতাশ। জেলায় পরীক্ষা নেওয়ার অতীত রেকর্ড ভালো না। গত প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষা জেলাভিত্তিক হওয়ায় সারাদেশে প্রশ্নফাঁসের এক মহোৎসবে পরিণত হয়েছিলো, এমনকি ফেইসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ খুলে এক শ্রেণির প্রশ্নফাঁসকারি সিন্ডিকেট লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন বিক্রয় করেছিলো। আমাদের আশঙ্কা, জেলা পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে সেখানে ভয়াবহ দুর্নীতি হতে পারে। তারা আরো বলেন ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষা জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার ফলে, প্রশ্ন আগের রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছিলো । ’
চাকরিপ্রত্যাশীরা আরও বলেন, একটি কুচক্রী ও স্বার্থান্বেষী মহল নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি ও দুর্নীতি করতে পরীক্ষাটি জেলা পর্যায়ে নেওয়ার জন্য বেশ তৎপর হয়ে পড়েছে। তারা যেকোনো মূল্যে পরীক্ষাটি জেলা পর্যায়ে নিতে চায়। তারা প্রশ্নপত্র ফাঁস বা কেন্দ্র দখল করে তাদের নির্ধারিত অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের পথ সুগম করতে চায়। সেই সঙ্গে তারা নিয়োগকে বিতর্কিত করে শিক্ষিত বেকার যুবকদের উসকে দিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে তৎপর। অথচ কেন্দ্রীয়ভাবে শুধু ঢাকায় পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হলে অন্য সব নিয়োগ পরীক্ষার মতো এই পরীক্ষাও কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবে। তারা আরো বলেন, প্রশ্নফাঁসের সাথে এবং কেন্দ্র দখলের সাথে জড়িত বেশ কিছু সিন্ডিকেট চাচ্ছেনা যে পরীক্ষা ঢাকাতে হোক, কারণ পরীক্ষা ঢাকাতে হলে তাদের শতশতকোটি টাকার অবৈধ লেনদেন বাণিজ্যে অনেকটাই ভাটা পড়বে। তাই তারা ২/৩ জেলার নারীদের মাঠে নামিয়ে নারীরা পরীক্ষা ঢাকায় গিয়ে দিতে পারবেনা এই অজুহাতে পরীক্ষা জেলা শহরের নিতে চাপ প্রয়োগ করছে তাদের লুকায়িত স্বার্থ কায়েম করার বাসনায়।
আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাই, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২০ নিজ নিজ জেলার পরিবর্তে, কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকাতে দিবেন এবং প্রশ্নফাঁস, কেন্দ্রদখল এবং দুর্নীতিমুক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণে এবং চাকরি প্রত্যাশী বেকার ছাত্রসমাজের অভিভাবক হয়ে থাকবেন।