নোবিপ্রবি উপাচার্য ও শিক্ষকদের নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ, নীল দলের নিন্দা ও প্রতিবাদ

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি

‘অনিয়ম দুর্নীতিতে ডুবতে বসেছে নোয়াখালী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নীল দল, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(নোবিপ্রবি)।

নীল দলের বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৯ এপ্রিল ২০২২ তারিখে জাতীয় দৈনিকে পত্রিকায় প্রকাশিত “অনিয়ম দুর্নীতিতে ডুবতে বসেছে নোয়াখালী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়” শিরোনামে প্রতিবেদনটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রান্তিমূলক, কল্পনাপ্রসূত, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অত্যন্ত অবমাননাকর। প্রকৃতপক্ষ, একটি কুচক্রী মহলের সরবরাহকৃত মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রান্তিমূলক, কল্পনাপ্রসূত, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে নীল দল, নোবিপ্রবি মনে করে। এই ধরনের মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক প্রতিবেদনে আমরা মর্মাহত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অপচেষ্টা প্রতিরোধে নীল দল, নোবিপ্রবি বদ্ধপরিকর। নীল দল, নোবিপ্রবি এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছে। উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামাত চক্র বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজকতা সৃষ্টির যেসকল পাঁয়তারা করছে, নোবিপ্রবি নিয়ে প্রকাশিত সংবাদটি তার বহিঃপ্রকাশ বলে আমরা মনে করি।

এখানে উল্লেখ্য যে, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান মাননীয় উপাচার্য মহোদয় যোগদানের পর থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে নোবিপ্রবি। স্পেনের সিমাগো ইন্সটিটিউট র‍্যাংকিং-২০২২ এর তালিকায় দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে নোবিপ্রবি। মাননীয় উপাচার্য সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছেন। অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে নীল দলের সকল সদস্য মতামত প্রদান করছে যে, প্রতিবেদনের শিরোনামের সাথে উপস্থাপিত তথ্যের কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। মূলতঃ একটি কুচক্রী মহলের সরবরাহকৃত তথ্যের ভিত্তিতে যে প্রতিবেদন করা হয়েছে তা সাংবাদিকতার সাধারণ শিষ্ঠাচার বহির্ভূতও বটে। প্রতিবেদনে অনেক মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য উপস্থাপনের পাশাপাশি সম্প্রতি নোবিপ্রবিতে নতুন শিক্ষক নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে অহেতুক প্রশ্ন তোলা হয়েছে , যা অবান্তর। প্রকৃত সত্য হলো, বর্তমান উপাচার্যের এটি প্রথম নিয়োগ যা স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়েছে এবং নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় সকলেই তাদের শিক্ষা জীবনে ১ম, ২য় বা ৩য় স্থান অর্জনকারী। প্রতিবেদনে অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং প্রকৃত অর্থে কিছু কিছু বিভাগে শিক্ষক স্বল্পতা নিরসনে ১০৫টি শিক্ষা ছুটি জনিত পদের বিপরীতে মাত্র ৫৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যা নোবিপ্রবির সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও সর্বমহলে সমাদৃত হয়েছে। নীল দল, নোবিপ্রবি বিশ্বাস করে এই ধরনের অপপ্রচার বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করবে।
তাই সকলের জ্ঞাতার্থে আমরা বলতে চাই, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও বিকৃত সংবাদ যেন আর পরিবেশন করা না হয় সেই ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা সকলে বিশ্ববিদ্যালয়, সমাজ তথা দেশের প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভিশন-২০৪১ অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করি।
পরিশেষে, নীল দল, নোবিপ্রবি কার্যকরী পরিষদের সর্বসম্মতভাবে গৃহীত সিদ্ধান্ত‌ এই যে, ভবিষ্যতে এধরনের ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশিত হলে আইনগত পদক্ষেপ নিতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি এবং মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রান্তিমূলক, কল্পনাপ্রসূত, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য সরবরাহকারী কুচক্রী মহলের মুখোশ উন্মোচনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *