গত ৩ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া মাহে রমজান এর পর থেকেই দেখা যাচ্ছে দ্রব্যমূল্যর দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।যদিও রমজান এর আগে থেকেই সব কিছুর মূল্য বৃদ্ধি পায়,কিন্তু রমজান এর সাথে সাথে তা যেনো আরও সাধারন মানুষ এর নাগাল এর বাইরে চলে গেছে।যার জন্য সব চেয়ে বেশি ভোগছে দরিদ্র মানুষেরা।যেখানে দিনের খাবার জোগাড় করতেই তারা হিমশিম খেতো এখন আরও বেশি খারাপ অবস্থায় জীবন যাপন করছে।বাজারে সকল পণ্যর মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারন মানুষের জন্যও তা খুব কষ্টের কারন হয়ে দাড়াচ্ছে।কোথায় যাবে সাধারন মানুষ যদি সকল পণ্যর দাম হাত এর নাগাল এর বাইরে চলে যায়,এসব প্রশ্নের উত্তর কেউই পারবে না দিতো।দরিদ্রদের কথা বাদই দিলাম,তাদেরতো জীবত থেকেও মৃত্যুর মতো অবস্থা।কেননা,জীবন ধারন এর মতো সামান্য টাকাটুকুও জোগাড় করতেও জীবন এর সাথে লড়াই করতে হচ্ছে।জীবনধারণের নূন্যতম খরচটুকু জোগাড় করতেই যাদের লড়াই করে যেতে হচ্ছে তাদের অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে পণ্য কেনা একেবারে অসম্ভব। যেসব পন্যর দাম বা সবজির দাম শুরুতে কম ছিলো সেসব এখন বেড়ে হাতের নাগাল এর বাইরে চলে যাচ্ছে।তার মূল্য চুকাতে হচ্ছে সাধারন মানুষদেরকে।তাদের পারিবারিক খরচ চালানোর পাশাপাশি এসব দিক সামলাতে কষ্টের সম্মুখিন হতে হচ্ছে।দৈনন্দিন জীবনের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো দিনদিন হাতের নাগাল এর বাইরে চলে যাচ্ছে। সারা বছরে একবার রমজানের সময়ে যদি এতটা কষ্ট পোহাতে হয় সাধারন জীবন-যাপন করা মানুষদেরকে তবে সত্যিই তা চরম অন্যায়।যার কোনো উওর কেউ দিবে না।অনেকে না খেতে পেড়ে অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে,কেননা নিরাপদ খাবার কেনার মতো সক্ষমতা তাদের মাঝে নেই।জীবিকার তাগিদে বিভন্ন পেশার সাথে যুক্ত হলেও তা থেকে আয় করতে পারে অল্প কিছু টাকা,যা দিয়ে পরিবার দেখাশুনা আবার উচ্চ মূল্য দিয়ে পণ্য কেনা একদম অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই বিষয় গুলো খতিয়ে দেখার মতো মানুষ সমাজে নেই বললেই চলে।তা না হলে এতটা খারাপ অবস্থায় মানুষকে পড়তে হতো না।হাতের নাগাল এর মাঝে পণ্যর দাম থাকলে তবে তা সাধারন মানুষদের জন্য কল্যান হয়ে দেখা দিতো।কিন্তু সমসাময়িক অবস্থা খুবই শোচনীয়। বাজারে সব পণ্যর দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে যা না কমলে পরে হয়তো আরও বেশি কষ্টের সম্মুখিন হতে হবে সাধারন মানুষদেরকে।এ ভোগান্তির কোনো শেষ নেই।
লেখক: কানিজ ফাতেমা
শিক্ষার্থী: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়