মানবতাবিরোধী অপরাধ

মানবাধিকার বিরোধী অপরাধ (Crimes Against Humanity) বলতে ব্যাপক ও প্রণালীবদ্ধভাবে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালানো আক্রমণকে বোঝায়, যার মধ্যে রয়েছে হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, জোরপূর্বক গুম, দাসত্ব, যৌন দাসত্ব, নিপীড়ন, বর্ণবাদ, এবং নির্বাসনের মতো গুরুতর লঙ্ঘন, যা যুদ্ধকালীন বা শান্তিকালীন উভয় সময়েই ঘটতে পারে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) বা জাতীয় ট্রাইব্যুনালের (যেমন বাংলাদেশে) মাধ্যমে বিচারযোগ্য।
প্রধান বৈশিষ্ট্য:
ব্যাপক ও প্রণালীবদ্ধ: এই অপরাধগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি বেসামরিক জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বড় আকারের আক্রমণ বা নীতির অংশ হিসেবে ঘটে।
বেসামরিক লক্ষ্যবস্তু: অপরাধগুলো বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়, তাদের জাতীয়তা নির্বিশেষে।
কিছু উদাহরণ:
হত্যা: গণহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড।
নির্যাতন: শারীরিক বা মানসিক নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ।
যৌন সহিংসতা: ধর্ষণ, যৌন দাসত্ব, বা অন্য কোনো যৌন নির্যাতন।
জোরপূর্বক গুম: ব্যক্তির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে অপহরণ বা অদৃশ্য করে দেওয়া।
দাসত্ব: বিশেষত নারী ও শিশুদের জোরপূর্বক শ্রম বা শোষণ।
নিপীড়ন: ব্যাপকভিত্তিক নিপীড়ন।
আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রেক্ষাপট:
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC): মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, বাংলাদেশ: বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য প্রতিষ্ঠিত।
সংক্ষেপে, মানবাধিকার বিরোধী অপরাধ হলো এমন ভয়াবহ কাজ যা সভ্য সমাজের মৌলিক নীতি ও মানবাধিকারকে ব্যাপকভাবে লঙ্ঘন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *