কারিমুল হাসান লিখন, ধুনট(বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার ধুনটে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্থানীয় বালিকা বিদ্যালয়ের এক স্কুল ছাত্রীর হাত ধরে টানাটানি করার ঘটনায় ইমরুল কায়েস (২২) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে ১৪ সেপ্টেম্বার ধুনট থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় এ মামলা দায়ের করে। ইমরুল কায়েস উপজেলার
বথুয়াবাড়ী গ্রামের মোজাম ফকিরের ছেলে। বাদি ও মামলা সুত্রে জানা যায়, উপজেলা পশ্চিম ভরনশাহী গ্রামের জনৈক ব্যাক্তির মেয়ে স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। ওই ছাত্রীর যাতআতের পথে একই উপজেলার বথুয়াবাড়ী গ্রামের মোজাম ফকিরের ছেলে ইমরুল কায়েস দির্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে নানা সময় নানা ভাবে প্রেমের কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের ভয়ভিতী প্রদর্শন করে ইমরুল কায়েস। বিষয়টি ওই ছাত্রীর অভিভাবক ইমরুল কায়েসের পরিবারকে জানানোর পরেও তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করে নাই বলে জানান ওই ছাত্রীর মা। এরূপ অবস্থা চলাকালে গত ১২ সেপ্টেম্বার সকালে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার সদর পাড়া
কালী মন্দেরের সামনে ওই ছাত্রীর পথ রোধ করে ইমরুল কায়েস। সে পুনরায়
প্রেমের প্রস্তাব দেয় এবং শরির থেকে ওড়না কেড়ে নিয়ে ওই ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেবার চেষ্টা করে। ওই ছাত্রী ওড়না ফেরত চাইলে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হলে ওড়না ফেরত দেবেনা বলে হুশিয়ারী দেয়। এর এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীর হাত ধরে টানাটানি করতে থাকে ইমরুল কায়েস। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকারে তার সহপাঠিরা এগিয়ে এলে ঘটনাস্থল থেকে সে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে শনিবার সকালে ইমরুল কায়েসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামালা দায়েররের পর ধুনট থানার এসআই মন্তাজ ইমরুল কায়েসকে গ্রেফতার করে। ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ ইসমাইল হোসেন জানান, স্থানীয় এক স্কুলের শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত করায় শিক্ষার্থীর মা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে। সেই মামলার আসামি হিসেবে ইমরুল কায়েকে গ্রেফতার করে শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।