সবচেয় করুণ অবস্থা নিউইয়র্ক সিটিতে । এই শহরের বাসিন্দারা ঘুম থেকে উঠলে মৃত্যুর সংবাদ, ঘুমাতে গেলে মৃত্যুর সংবাদ শুনছেন ।
সবকিছু মিলে মন ভালো নেই যুক্তরাষ্ট্রের, মন ভালো নেই প্রবাসী বাংলাদেশিরও। মৃত্যুর মিছিলে প্রতিদিন যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম।
শুক্রবার করোনায় আরও ৪ বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন- কুইন্স এস্টোরিয়ার বাসিন্দা সৈয়দ ফারুক আহমেদ (৬০), আক্তারুজ্জামান (৭০), ওজন পার্কের নিজামউদ্দিনের সহধর্মিনী রাবেয়া খাতুন (৫৫) ও মহরুন্নেসা। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মোট ১৯৪ বাংলাদেশির করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে।
ভাইরাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্য নিউইয়র্কের গভর্নর এন্ডু ক্যুমো জানিয়েছেন মোট মৃত্যুর সংখ্যা রাজ্যে এরমধ্যেই ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এক মাসের মধ্যে ২৪ এপ্রিল শুক্রবার সবচেয়ে কম মৃত্যু যোগ হয়েছে।বৃহস্পতিবার ৪২২ জনের মৃত্যুর সংবাদ জানানো হয়েছে।রাজ্যে ১২৯৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সংক্রমণ নিয়ে। গভর্নর হিসেব মতেই ২৬৩৪৬০ জনের নিশ্চিত সংক্রমণ পাওয়া গেছে।
ধাপে ধাপে খুলে দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ক্যুমো। ১৫ মে পর্যন্ত পুরো রাজ্যে করোনায় লকডাউন আদেশ বলবত আছে।
ক্যুমো সতর্ক করে বলেছেন, এখনই আমরা স্বাভাবিক ব্যবসা বাণিজ্যে ফিরে গেলে সংক্রমণ দ্রুত ফিরে আসবে। আসছে সপ্তাহের মধ্যেই নিউইয়র্ক পর্যায়েক্রমে খুলে দেয়ায় সিদ্ধান্ত নেবেন বলে গভর্নর জানিয়েছেন।
গভর্নর আরও জানান, ফেব্রুয়ারি মাসেই ইতালিতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় একই সময়ে অন্তত ২৮০০০ করোনা সংক্রমণের লোক যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ে ফেব্রুয়ারি মাসেই। এরমধ্যে ১০ হাজার জন শুধু নিউইয়র্কেই বলে তাঁর ধারণা। জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে নিউইয়র্ক ও নিউজার্সির বিমানবন্দরগুলোতে ১৩০০ ফ্লাইট আসে ইউরোপ থেকে। এসব ফ্লাইটে যাত্রী ছিলেন প্রায় ২২ লাখ।
এদের মাধ্যমেই যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ ঘটেছে বলে এখন মনে করা হচ্ছে। শুরুতে চীনের সাথে ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার মধ্য দিয়ে সামনের দরজা ঠিকই বন্ধ করা হয়েছিল। তবে পেছনের দরজা খুলে রাখা হয়েছিল বলে ক্যুমো বলেছেন। যখন টের পাওয়া গেছে , তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন , এখন আমাদের দেখতে হবে এমন যাতে আর না হয়।