কামরুল হাসান, শিবগঞ্জ (বগুড়া) থেকেঃ বগুড়ার শিবগঞ্জ আলাদীপুর অবৈধ ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে এলাকার কৃষকের প্রায় ৩০ একর জমির ফসলসহ ফলফলাদির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার(ভুমি) বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করে এলাকার কৃষকরা। অভিযোগে বলা হয়, এলাকার এমএম টি ইটভাটা মালিক জহুরল ইসলাম দির্ঘদিন যাবৎ ইটভাটা ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছে। উক ইট ভাটা থাকার ফলে বিভিন্ন
সময় কৃষকের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু ভাটা মালিক জহুরুলকে তারা তাদের ফসলের ক্ষতির ব্যাপারে মৌখিক ভাবে নিষেধ করলেও কর্ণপাত করেনি ভাটা মালিক।গত ২৬/৪/২০২০ ইং তারিখে রাতে লোকজনের চক্ষুর আড়ালে তার ভাটার বিষাক্ত গ্যাস ছেড়ে দেয়, অভিযোগ এলাকার কৃষকদের। যার ফলে কৃষকদের এলাকার আশপাশের আনুমানিক ৫০/৬০ বিঘা জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এব্যাপারে কৃষক ফজলুর,জলিল,নান্নু,বজলু,নাজমুল,আনেয়ার ছামচুল,মোয়াজ্জেম, রনজু,কালাম শহিদুল ইসলাম বাবু বলেন, ইটভাটার বিষাক্ত ধুয়া ও গ্যাসে আমাদের লক্ষ লক্ষ টাকার ফসল, নার্সারির চারা ও বাড়ীর আম, জলপাই, আমড়া গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যা অপুরনীয়, বর্তমানে করোনাভাইরাস এ আমরা বাহিরে বের হতে পাচ্ছিনা। আর আমাদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার
আলমগীর কবীর ও ওসি মিজানুর রহমান দিন রাতে কাজ করে যাচ্ছেন যা প্রশাংসার দাবীদার এলাকাবাসীর কাছে।করোনাভাইরাস এর কারণে বর্তমান সরকার আমাদের বাড়ী বাড়ী খাবার পৌছে দিচ্ছ। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, একটা জমিও যেন ফেলে না রাখা হয়, তাই আমরা তার কথা মতো সব জমিতে ফসল ফেলে ছিলাম কিন্তু এলাকার জহুরল সহ কিছু প্রভাবশালীদের ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসের
কারণে প্রতি বছর আমাদের মুখের খাবার নষ্ঠ হচ্ছে। আর এতে করে এলাকার খাদ্য অভাব দেখা দিতে পারে। বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই। এব্যাপারে ইটভাটা মালিক জহুরুলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার ইটভাটার গ্যাসের দ্বারা এটা হয়নি। এখানে শুধু আমি একায় ব্যাবসা করছি না এম এইচ সি, এম এইচ এম,এস এম সি,এম, এইচ সহ অনেকেই এক সাথে গ্যাসের ইটভাটা চালাচ্ছে, এখন কার ভাটার গ্যাসে কৃষকদের ফসলের ক্ষতি হয়েছে তা কে যানে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর কবীরের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এবিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।