রাব্বিউল হাসান রমি,বিশেষ প্রতিবেদকঃ কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আশিক আহমদ জেবাল (বাপ্পী) যার নেতৃত্বে জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলাতে করোনা টেস্টে কালাই মডেল উপজেলাতে পরিণত হয়েছে।ইতিমধ্যেই সর্বাধিক সংখ্যক নমুনা সংগ্রহ করে রেকর্ড করেছে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। আর এই গুছিয়ে নমুনা সংগ্রহের বুদ্ধিটা তাঁরই।ইতিমধ্যেই ২৪ জন রোগী শনাক্ত করতে পেরেছে তারা,যাদের ইতিমধ্যেই আইসো লেশনে নিয়ে অন্যদের ঝুঁকি কমানো হয়েছে।
করোনা রোগীদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে পরিবার থেকে প্রায় আড়াই মাস বিচ্ছিন্ন ডাঃ জেবাল । ভাইয়ের এই শূন্যতা বুকে চাপানো ব্যথা নিয়ে ফেসবুকে এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছে তার ছোট বোন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী । তা পাঠকদের জন্যতুলে ধরা হল-
“ভাইয়া,তোকে ছুয়ে ও দেখতে পারছি না এই মূহুর্তে। দূর থেকে দেখে চোখের পানি ফেলানো ছাড়া কিছু করার নাই।এটাই বুঝি প্রকৃতির নির্মম পরিহাস”।
বীর কাকে বলে জানেন? যে যুদ্ধে যাওয়ার পর পরিবারের চেয়ে তার কাছে বেশি মূল্য পায় তার যুদ্ধের ময়দান।ভাবুন তো একবার আপনার প্রিয়জন আপনার সামনে দাড়িয়ে! কিন্তু স্পর্শ করতে পারবেন না তাকে। প্রিয়জনটিও জানে তার চোখের জল মানসিক ভাবে দূর্বল করে দিতে পারে সেই বীর যোদ্ধাকে।।তাই বুকচাপা কষ্টের মধ্যেও হাসিমুখে কর্মক্ষেত্র নামক যুদ্ধের ময়দানে যেতে দিতে হয়।। আমাদের উচিত এই সকল বীর যোদ্ধাদের সম্মান জানানো এবং তাদের এই যুদ্ধের কথা আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা।