ডেস্ক রিপোর্টঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে এসে উত্তাপ ছড়াল ছাত্রদল। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করে ক্যাম্পাসে আসেন সংগঠনের নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এসময় সব সংগঠনের সহাবস্থানের দাবি জানান তারা।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে তারা শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। এ সময় দুই সংগঠনের নেতাকর্মীরা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেন। যদিও শেষ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরে বিএনপি চেযারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবিতে মিছিলও করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন এবং সাধারণ সম্পাদক হন ইকবাল হোসেন শ্যামল বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে যান। এ সময় ছাত্রদলের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তারা স্লোগান দিয়ে নবনির্বাচিত শীর্ষ দুই নেতাকে বরণ করে নেন।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হাসান শ্যামল বলেন, গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হলো ভিন্নমতকে পাশাপাশি অবস্থান করানো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সীমিত আকারে গণতন্ত্র বিরাজ করছে, কিন্তু সেটা পর্যাপ্ত না। ভিন্নমত ধারণ করার কারণে আমাদের হল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা হলে থাকতে পারছেন না। আমরা ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সৌহার্দ্য বিনিময় করতে গিয়েছি, কিন্তু আমরা সেরকম সৌজন্যতা তাদের কাছ থেকে পাইনি। উল্টো বিভিন্ন উসকানিমূলক স্লোগান এবং বিভিন্ন জিনিস আমাদের দিকে নিক্ষেপ করেছে তারা।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ছাত্রদল বুড়োদের সংগঠন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও রাতের আঁধারে তারা কমিটি করেছে। কেউ যদি ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, স্বাধীনতাবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা তাদের প্রতিহত করব।
নবনির্বাচিত সভাপতি খোকন ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। তিনি সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক ছাত্র। ছাত্রদলের গত কমিটিতে গণশিক্ষাবিষয়ক সহসম্পাদক ছিলেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়। আর সাধারণ সম্পাদক শ্যামল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ থেকে ২০০৯ সালে অনার্স এবং ২০১০ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনায় অধ্যয়নরত।