তক্ষক সাপ, সীমানা পিলার, সম্পুর্ণ কালো রঙের বিড়াল , প্রাচীন ভূসির পরিমাপের পাথর, প্রাচীন মূদ্রা, বজ্রপাতে নিহত প্রানীর দেহ, ৫০ বছরের পুরনো পান গাছের শেকড় (বরজ) এই জিনিস গুলি লোকমুখে কোটি কোটি টাকা দাম থাকলেও বাস্তবে কোন দাম নেই। এই জিনিস গুলির পেছনে ছুটতে গিয়ে আমাদের দেশের অনেক অশিক্ষিত, অর্ধ শিক্ষিত এবং শিক্ষিত মানুষ এবং তার পরিবার বর্গ সর্বস্বান্ত হয়েছে, অনেকে লোভে পরে খুনের ঘটনাও ঘটিয়েছে। লোকমুখের কথা বিশ্বাস করে তারা মনে করে কোন ভাবে যদি এই জিনিস গুলির মালিক হতে পারি তাহলে আমি এক রাতেই কোটিপতি। এই দুঃস্বপ্ন দেখেই হাজারো মানুষ প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে। পৃথিবীতে ১১৬ প্রকার মৌল আছে। এই ১১৬ প্রকার মৌলের কোন বিশেষ গুনাগুন বা বৈশিষ্ট্য উপরের জিনিস গুলির কোনটিতেই নেই। তাই বিজ্ঞান ভিত্তিক ব্যাখ্যায় অই জিনিস গুলির কোন বিশেষ উপযোগিতা নেই। পৃথিবীতে ইউরেনিয়াম একটি অনেক দামী মৌল তারও সঠিক ব্যাখ্যা আছে। আর তা হল ইউরেনিয়াম পারমানবিক চুল্লীতে ব্যবহৃত হয় এবং দুস্প্রাপ্য । কোন পদার্থের দাম নির্ভর করে ঐ পদার্থের উপযোগীতার উপর। যেমন লোহা এবং সোনা দুটোই মৌলিক পদার্থ হওয়া সত্বেও লোহা থেকে সোনার দাম অনেক বেশি কারণ হল তার উপযোগিতা বা ব্যবহারের উপর। লোহা এবং সোনার মূল পার্থক্য হল সোনা অনেক কম আসক্তি সম্পন্ন মৌল হওয়ায় সে অন্য মৌলের সাথে বিক্রিয়া না করার কারনে অনেক বছর পর্যন্ত অটুট থাকে এবং মরিচা ধরে না। অপর দিকে লোহা বেশি আসক্তি সম্পন্ন মৌল হওয়ায় সহজেই অন্য পদার্থের সাথে বিক্রিয়া করে মরিচা পড়ে। এই একটা বৈশিষ্টের জন্য সোনা অভিজাত ধাতু হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে তাই সোনার দাম এত বেশি।

লেখক: ইঞ্জিনিয়ার এম মোকাদ্দেছ বিল্লাহ (কাওছার) ,এম -৪০৫৫৭।