আব্দুল হাদী, জেলা প্রতিনিধি, নীলফামারী
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ভেন্ডাবাড়ী ২নং স্পার বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। কয়েকদফা বন্যায় গৃহহীন হয়ে পড়েছে এলাকার কয়েকশ পরিবার।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, স্পার বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে মানুষ। ২নং স্পার বাঁধের শেষ প্রান্তে ব্রিজের কাছে ভেঙ্গে গিয়ে গতিপথ পরিবর্তন করেছে নদী। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে মেইন বাঁধও।
এদিকে বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়ে-ছে বিস্তৃত অঞ্চল। এসব অঞ্চলের মানুষ অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে তাদের বাড়িঘর। কেউ কেউ ক্ষতিগ্রস্থ স্পার বাঁধের দুই দিকে অস্থায়ীভাবে বাড়ি বানিয়ে অবস্থান করেছে। বসত ভিটা প্লাবিত হওয়ায় মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ।
ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় আমীর আলী বলেন, প্রথমে বাঁধটি প্লাবিত হয়ে একদিক থেকে ভাঙ্গন শুরু হয়। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের উদ্যোগে জরুরী ভিত্তিতে কিছু লিও ব্যাক (বালুর বস্তা) ফেলে বাঁধের পানি কিছুটা আটকানো হয়। পরবর্তীতে গভীর রাতে ব্রিজের প্রান্তে ভাঙ্গন শুরু হয়। যা আর আটকানো সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম রব্বানী বাবু বলেন, আমরা এখানকার মানুষের সহায়তায় এবং চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় আপাতত বাঁধটি যাতে আর ক্ষতি না হয়ে সে ব্যবস্থা করেছি। এলাকার মানুষজন নিজেরাই শ্রম দিয়ে লিও বস্তায় বালু ভর্তি করে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটির মুখের ভাঙ্গন আটকে দিয়েছে। তবে যে ভাঙ্গনটি হয়ে-ছে তা দ্রুত মেরামত করা না হলে মেইন বাঁধটিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এ বিষয়ে চাপানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি মানুষের পাশে থাকার। আমি বিষয়গুলো তৎক্ষণাৎ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আপেল মাহমুদ বলেন, আমরা বাঁধটি আটকানোর কাজ শুরু করেছি। আশাকরছি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধটি মেরাত করা সম্ভব হবে।
এএইচ/আরআই