ভূমি দস্যুদের অবাধ দখল: প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চায় গাজীপুরের ভূক্তভোগীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি,

ঢাকার কুখ্যাত কলঙ্কিত ভূমি দস্যুদের অভয়ারণ্য ও স্বর্গরাজ্য গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নিরবতায় অসংখ্য পরিবার নিঃস্ব ও
সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে৷

ঢাকার কুখ্যাত ও কলঙ্কিত ভূমি দস্যু, আলোচিত দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারী এবং বহু অপকর্মের হোতা পার্টেক্সের এম.এ হাসেম এবং তার বড় ছেলে আজিজ আল কায়সার ও তার চক্র।ঢাকার গুলশান এলাকায় ক্যাসিনো ব্যবসা, মাদক ও হিরোইন ব্যবসার অন্যতম কর্ণধার।

জালজালিয়াতির অপকৌশলে জাল দলিল তৈরী করে রাতের অন্ধকারে হাজার হাজার বিঘা জমি জবরদখল করায় শত শত পরিবার আজ নিঃস্ব ও সর্বশান্ত হয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে।
দীর্ঘদিন প্রশাসন সহ বিভিন্ন দরজায় কড়া নেড়েও কোনো সু-বিচার পাচ্ছেন না বলে দাবী করেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা। প্রশাসন নির্বিকার ও নিস্ক্রিয় থাকায় সংঘবদ্ধ ভূমি দস্যুদের স্বর্গরাজ্য ও অভয়ারণ্য আজকের গাজীপুর জেলা।

উল্লেখ্য যে, ১৭/০৯/১৯৪৭ ইং তারিখে ক্রয় সূত্রে গাজীপুর থানাধীন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন গ্রাম আড়াইশত প্রসাদ, মৌজা-আড়াইশত প্রসাদ, জে এল নং-আর.এস ১৮, ভূমি অফিস-সালনা গাজীপুরে ২৭.২৩ একর ভূমির মালিকগণের ভূমি হঠাৎ ভূমি দস্যু গং রাতারাতি ১৯৯৭ ইং সালে বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে সাইনবোর্ড লাগিয়ে জবর দখল করে নেয়। সংঘবদ্ধ দুর্নীতির কারণে উক্ত ভূমি উদ্ধারে অসহায় ভূমির মালিকগণ উপায় খুঁজে না পেয়ে হৃদয় ইসলাম বাবুকে আম-মোক্তার নিয়োগ করলে হৃদয় ইসলাম বাবু দীর্ঘদিন হাসেম গংদের সাথে দেন দরবার করেও কোনো সুফল না পেয়ে গাজীপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জাল দলিল ও জায়গা জবর দখলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। জয়দেবপুর থানা মামলা নং-৯৬(১১)০১, তাং-০৩/১১/২০০১ ইং যেখানে অভিযুক্ত যথাক্রমেঃ-পার্টেক্সের হাসেমের বড় ছেলে ১) পুত্র আজিজ আল কায়সার, ২) সদরুল হুদা, ৩) হানিফ মোল্লা, ৪) মোঃ নুরুল হুদা ও ৫) মোঃ রফিক।

বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত আসামীগংদের সৃজিত জাল দলিল নং-৭৩৯৬, তাং-২৬/০৪/২০০১ ইং গাজীপুর সদর, জাল দলিল নং-৯৬, তাং-২৯/১১/২০০১, জাল দলিল নং-৪৫৪, তাং-৩০/০৬/২০০২ ইং বাতিল করা সহ অন্যান্য সকল জাল দলিল বাতিলে রায়ের আদেশ নং-২১৮৪, তাং-০৬/০২/২০০৮ এর মাধ্যমে রায় ও ডিক্রী প্রদান করেন। রায়ে উল্লেখ করা আছে, আজ থেকে জাল দলিলের সকল কার্যক্রম অবৈধ এবং জাল দলিল বলে সকল প্রকার নামজারী কার্যক্রম সহকারী কমিশনার গাজীপুর ভূমি অফিসে বন্ধ থাকবে ও বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে। একই সাথে আসামীদের প্রত্যেকের ৭ বছরের কারাদন্ড ও ২,০০০/- টাকা জরিমানা অনাদায়ের আরো ২ মাস কারাদন্ডে দন্ডিত করে।তারা উচ্চ আদালতে আপিল করলে উচ্চ আদালত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে রায় বহাল রাখেন এবং হাসেম গংদের রীটপিটিশন খারিজ করে দেন। অথচ গাজীপুর প্রশাসন অদ্যাবধি কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। উল্টো হাসেম গংরা হৃদয় ইসলাম বাবুকে রায়ের দিন গুলি করলে পায়ে গুলি লাগে। যার দায়েরকৃত জিডি নং-১৫০৩, তাং-২১/০৭/২০১১। বর্তমানে হৃদয় ইসলাম মালিক গং প্রিন্স ড. মূসা বিন শমশেরের নিকট রেজিষ্ট্রী বায়নানামা দলিল নং-৪২৭৩, তাং-১৭/০৬/২০২০ ইং এবং অপরিবর্তনীয় আমমোক্তার নামার মাধ্যমে বিক্রি করায় প্রিন্স মূসা বিন শমশের উক্ত ভূমির মালিক হওয়া স্বত্বেও ২২ বছর যাবৎ এই ভূমি দস্যুদের কবলে থাকায় প্রকৃত মালিকদের হাতে হস্তান্তর করা যায়নি। এমতাবস্থায় সাধারণ জনগণের হাল কী হতে পারে তা সহজেই বোধগম্য। উল্লেখ্য প্রিন্স ড. মূসা বিন শমশের বিশ্ব বরেণ্য ধনকূবের ও বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সামরিক কৌশলবিদ ও বিশ্বের আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পথিকৃৎ, যিনি দেশ ও আন্তর্জাতিক ভাবে সমাদৃত ও সম্মানিত, তিনি আধুনিক বিশ্বের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির অবিসংবাদিত মহানায়ক ও জনশক্তি রপ্তানির শ্রেষ্ঠ রূপকার ও প্রবাদ পুরুষ। তিনি যুদ্ধ বিধ্বস্ত বংলাদেশের ভাগ্য প্রবর্তক ও কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নপূরণকারী ও বিস্ময়কর এক স্বপ্নদ্রষ্টা ও সফল পথ প্রদর্শক। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ, বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ ও দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির সনদ। প্রবাসীদের পাঠানো এই অর্থের উপর ভিত্তি করেই দাঁড়িয়ে আছে দেশের অর্থনীতি। আর যার অবিস্মরনীয় মেধা, অক্লান্ত পরিশ্রম ও একক ভাবে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশীদের জন্য শ্রমবাজার সৃষ্টি করেছেন, যার হাত ধরে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ শুরু হয়, যার দীর্ঘমেয়াদী অভূতপূর্ব বলিষ্ঠ উদ্যোগের ফলশ্রুতিতে দেশে আজ বৈদেশিক মুদ্রার রেকর্ড পরিমান রিজার্ভ এবং প্রবাসীদের পাঠানো অর্থে আজ গ্রাম গঞ্জে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই পাকা বিল্ডিং তৈরী হয়েছে। যার সর্ম্পূণ কৃতিত্ব ড. মূসা বিন শমশেরের এই কারণে তাঁকে  আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি বলা হয়ে থাকে। যার ঋনের বোঝা বইতে হবে এই জাতিকে অনন্তকাল। আর সেই মহান ব্যক্তির জমি জবর দখল করে রাখবে ভূমি দস্যুরা প্রশাসনের চোখের সামনে ইহা কখনই মেনে নেওয়া যায় না। প্রিন্স মূসা বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই তিনি প্রশাসনের উপরে নির্ভর করে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছেন বলে জানা যায় ।

জানা যায়, হাসেমের বড় ছেলে ১৫ মাস জেল খেটে জামিনের ছাড়া পেয়ে পুনরায় জবর দখলের নিত্যনতুন পায়তারা ও হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও তা নিয়ে দিয়ে ফেরারী অবস্থায় নানাবিধ অপরাধ মূলক অপকর্মে লিপ্ত আছে। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন সহ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক উল্লেখিত ভূমি দস্যুদের কবল থেকে সাধারণ জনগণের সহায় সম্পদ রক্ষা ও বিশ্ব বরেণ্য বিরল ব্যক্তিত্ব প্রিন্স মুসাবিন শমসেরের ভূমিতে নির্মিত সকল অবৈধ স্থাপনা অবিলম্বে উচ্ছেদ পূর্বক দখল হস্তান্তরে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার দাবি গাজীপুরবাসী সহ সকল ভুক্তভোগীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *