ওমর ফারুক অপু
বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী,বাংলাদেশ স্বাধীনতার স্থপতি, গোপালগন্জের কৃতি সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এক শ্রদ্ধাভাজন সংগ্রামী মানুষের নাম। তাঁর শ্রদ্ধার্থে তার নামে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান,তার মধ্যে একটি গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
২০০১ সালের ৮ জুলাই মহান জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) আইন পাস হয়। বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়টি পূন্যভূমি গোপালগঞ্জের মধুমতীর তীরে অবস্থিত। ১২ হাজার শিক্ষার্থী, ৯ টি অনুষদের ৩৪ টি বিভাগ নিয়ে সুনাম অর্জন করে আসছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
গোপালগঞ্জের মানুষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কাছে জাতির পিতার নামে বিশ্ববিদ্যালয় একটি গর্বের নাম।কিন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় ২০১৯ সালে পিরোজপুরে একই নামে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তাবনা পাশ হয়। খুব সম্প্রতি সময়ে গোপালগঞ্জের প্রতিবেশী জেলা পিরোজপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি), পিরোজপুর আইন- ২০২০ এর একটি খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়। এদিকে একই নামে পাশাপাশি জেলায় দুইটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিষয় ক্ষুব্ধ মত প্রকাশ করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা।
দুইটি একই নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ” পাশাপাশি দুইটি জেলায় একই নামে দুইটি একই রকমের (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কতটা যুক্তিযুক্ত? দুইটি একই নামের হওয়ায় এক সময় চেনার সুবিধার্তে সবাই বলতে শুরু করবে পিরোজপুর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা গোপালগঞ্জ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের ক্ষেত্রে কেউ ই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নামটি আর বলবে না। কৌশলে বাদ পড়বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নাম টুকু।
একই নামে দুই বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ড. মো. শাহজাহান বলেন, একই নামে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় হলে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই পরিচয়সংকটে পড়বে। সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আমরা বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কথা বলব।