রুদ্র দেব নাথ, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ( জবি ) এইবার বিভাগ ভিত্তিক সরস্বতীর পূজার আয়োজন করা হয়েছে। ৩৩ টি বিভাগ ,২টি ইনস্টিটিউট ও ছাত্রী হলে (বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল) ১টি পূজা মিলিয়ে মোট ৩৬টি মণ্ডপ পূজিত হবেন বিদ্যার দেবী। তাই দেবীকে বরণ করতে শেষ মুহূর্তে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৫ জানুয়ারী) সরজমিনে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, স্টেজ তৈরি, মণ্ডপ সাজানো, প্রতিমা স্থাপন, আলপনা অঙ্কন সহ নানাবিধ কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। তাদের কাজে সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন বেশ কিছু ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরাও।
বিভাগ গুলোর মধ্যে চলছে মণ্ডপ সাজানোর প্রতিযোগিতা। কোন বিভাগের চেয়ে কোন বিভাগের মণ্ডপ বেশি সুন্দর সেটি দেখাতে তাদের চেষ্টার যেন কমতি নেই। এছাড়া পূজা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট সাজানোর পাশাপাশি চত্বর সাজানো হয়েছে আলপনায়। ক্যাম্পাস সাজানো হয়েছে আলোকসজ্জায়।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের উৎস মন্ডল বলেন, এইবার প্রথম আমি পূজায় অংশ নিচ্ছি, পূজায় অনেক কাজ, শেষ হতেই চায় না, তারপরও পূজার জন্যে আমরা সকলেই সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, সকলের পূজা ভালো কাটুক, এটাই প্রত্যাশা।
সংগীত বিভাগের অনামিকা মল্লিক বলেন, প্রত্যেক বছরই আমাদের পূজা সকলের চেয়ে ভিন্ন হয়, আমাদের পূজায় স্যার,ম্যাডাম সহ ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে, পূজার সারাদিনই গান বাজনায় ভিন্ন ভাবে উদযাপন করা হয়। এইবারেও অনেক আয়োজন আছে, শেষ মুহূর্তে গুছানোর পালা চলছে।
পূজা কমিটির আহ্বায়ক রবীন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, এবারের পূজার আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হচ্ছে দেখলাম। আমি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ছিলাম। আগামীকাল ভিসি স্যার, প্রক্টর স্যার সহ সকল স্যার উপস্থিত থাকবেন। পূজা যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে পালিত হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
শাস্ত্রমতে, সরস্বতী হলেন জ্ঞান, বিদ্যা, সংস্কৃতি ও শুদ্ধতার দেবী। শুভ্র বসন, হংস-সম্বলিত, পুস্তক ও বীণাধারিণী এই দেবী বাঙালির মানসলোকে এমন এক প্রতিমূর্তিতে বিরাজিত, যেখানে কোনো অন্ধকার নেই, নেই অজ্ঞনতা বা কুসংস্কারের কালো ছায়া।