সময় তোমায় খুন করেছিলো
দৈত্যদের সাথে প্রতিযোগিতায় নেমেছিলে শুনলাম,
ধর্ষণ করার পর কোনো এক আদিম দৈত্য
মেয়েটির পরিবারের সকলের মুখ নাইলনের সুতো দিয়ে সেলাই করে রেখেছিল।
সিলেটের এক আদিম বাসিন্দা বন্য শূয়োর ধরেছিলো
সে হিন্দু ছিলো, ধর্মে।
তোমরা তখন ধর্ষকের বিচার চাইছিলে,
শূয়র নিয়ে বাড়ি ফিরে দ্যাখে মুসলমান ধর্মের কিছু মানুষ
ঘর জ্বালিয়ে দিয়ে শূয়রকে দশটা লাথি মেরে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলো।
ওদিকে তুমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
কবীর সুমনের গানে ঠোঁট মেলাচ্ছিলে,
উত্তরার এক ফ্ল্যাটে বাচ্চারা কান পেতে
বাবা-মা’র ঝগড়া দেখছিলো।
একজন গৃহবধূ ভালোবাসার বিছানায় ঘুমোতে গিয়েছিল যখন
তখন পাশের বাড়ির আরেক গৃহবধূ স্বামীকে বলছিল,
“শুধুমাত্র সন্তানের দিকে তাকিয়ে তোমার সংসার করে যাচ্ছি”।
ঘরে বাহিরে নারীদের তুমি যেমন আলাদা দুই দৃষ্টিতে দেখেছিলে সেদিন
ঠিক ঐ দিনেই তোমার গিটারটা ভেঙে ফেলেছিলো
তোমার বাবা।
তুমি ছুটোছুটি করে বিশাল এক মিটিং শেষে বাড়ি ফিরছিলে চৌদ্দ তারিখ রাতে
বিয়ার দুটো ব্যাগের কোণে,
ঐ রাতে না খেয়ে ছিলো মেথর পট্টির দুই পরিবার।
তোমার বিশ্ববিদ্যালয় তোমায় ভারী বইয়ের পাতায় মুখ গুঁজতে শিখিয়েছিলো,
গতকাল খবরে অনেকগুলো খুন হয়েছিলো।
আজকের খবরে কয়েক ছটাক তেল চুরি হয়েছে
কালকের খবরে দুই গাড়িতে ধাক্কা লেগে;
গতকাল, আগামীকাল,আজকাল।
কবি- আল-মামুন সানি- শিক্ষার্থী
(ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়)