লিখেছেনঃমোস্তাফিজুর রহমান: আমি সকলের কথা স্বাচ্ছন্দ্যে বলতে পারি স্বাভাবিক সুর ও ছন্দে তা মিলেও যায়।
আমি আকাশের উদারতা বুঝি
অসীমতা মুহুর্তে ধারনা করা যায় কি তার প্রলম্বিত দূরত্ব
বাতাসের কন্ঠ থেকে রহস্যের জট খুলি
মেঘের ভাঁজে দৃষ্টির আন্দাজ।
কেন জানি মানুষের নিশ্চয়তা আমাকে প্রহার করে
জ্ঞান শূন্যতায়।
মানুষের কাছে আসতেই সমস্ততা ভুলে যাই
কি এক অদ্ভুত প্রাণীর মত তাকিযে থাকে শুধু
সে তাকানোতে নেই কোন স্বর যেন লোভের একাংশ
পরক্ষনেই হিংসার বারুদ
পরক্ষনেই স্বার্থের আনন্দে তেল মেখে
সমস্ত শরীর মালিশ করে দেওয়া।
অবাক হয়ে যাই আমি যখন নিজেকে
মানুষের কাতারে দাঁড় করাই
মানুষের বিশিষ্টতা আমাকে শুধু প্রশ্ন তোলে
মানুষ যখন নিশ্চিত হেরে যাবে যাবে
কাপুরুষের মত পেছন থেকে আক্রমন করে
অথচ একটি বিষাক্ত সাপও তা করেনা।
যখন সে ভাবে মর্যাদায কারো সমকক্ষ নয়, সে গিরিংগি করে
পশুর ভিতরেও সে স্বভাব নেই।
আমি মানুষকে দেখেছি কারো সততায় তাকে আঘাত করতে
অথচ বন্য জানোয়ারের চরিত্রও তা নয়,
দেখেছি ফিস ফিস করে কান কথা লাগাতে
কোন শুয়োরের বাচ্চাও তা করে না।
দেখেছি সম্পর্কের আড়ালে কৌশলের আশ্রয় নিতে
কোনো শৃগালের ধর্তব্যে তা নেই,
যেমনি তোষামোদ।
মানুষের সাহাচার্যে গেলে প্রায়শই আতকে উঠি
কিভাবে বিকশিত হয় এত ঘৃণার মিশ্রণ?
আমি বৃষ্টির অঝোরতায় একাত্ব হযে যাই
রোদ্রের পুরুত্বে শরীর ঘেষাতে পারি
এমনকি ঘাসের বুক থেকে অন্তর্গত সারল্য
মানুষকে ভালবাসার কথা বলতে পারিনা
কেননা মানুষ আজীবন লালন করে লালসা।