নাগরিক কোলাহলের অস্থিরতায় যদি কোনো এক ভোরে হঠাৎ হারিয়ে যাই, তবে মনে করে নেবে আমি বৃক্ষ হয়ে আকাশ পাহারায় মত্ত হবো রোজ।ব
হুকাল ধরে শুনে এসেছি, তোমার কোনো খবর নেই, নেই কোনো খোঁজ।
হতাশায় কাঁদো এখনো, নাকি বিশ্রী গন্ধের সস্তা এক ধুম্রশলাকা জ্বালিয়ে অন্তর দহন করো, পোড়ে কি ভেতরটা! ঐ শ্রমিকদের দেখে! যারা অবলীলায় ভালোবাসা বলি দিয়ে তোমার ঘর সাজাতে ব্যস্ত হয়। সকাল থেকে দুপুর, সন্ধ্যে থেকে ভোর!
ওদের ঘাম খুব চড়া দামে বিক্রি হয়; ওদের ঘামের ব্যবসা করে কোটিপতি বনে জমি কিনেছে তোমার অসংখ্য পিতামাতাগণ।
আমি চাইতাম তোমাকে, পাউরুটির সাথে চা খেতে যেমন অলৌকিক স্বাদ জিভে ভর ক’রে ঠিক তেমন করে।
কিন্তু তুমি ক্ষুধা বোঝো না৷ তুমি বেঁচে থেকে মৃত্যুর যন্ত্রণাটুকু উপভোগ করতে শেখোনি!
তোমরা শুধু শিখিয়ে গেলে আমাদের, তোমরাই শিক্ষক আর তোমরাই শিক্ষিকা।
চেষ্টা চলছে, দেখি! তোমাদের পোশাক পরবো একদিন৷ মেনে নেবো সত্য সকল কিছু তোমাদের জন্যই, মাথা পেতে নেবো তোমাদের সকল পৈশাচিক দীক্ষা!
আজ তবে চললাম, ভালো থেকো!
লিখেছেনঃ আল-মামুন সানি, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও ডিআইইউ-এর প্রাক্তন শিক্ষার্থী।