প্রিয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তোমার সমস্ত অসম্পূর্ণতা আমার কাছে টিকে থাকার সংগ্রামে নিজেকে তৈরি করার উত্তম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
★ জবি তোমার হল নেই — প্রয়োজন নেই হল,
তোমার এক একটি লাল বাস আমার এক একটি হল
★ জবি তোমার সুবিশাল ক্যাম্পাস নেই — তাতে কি? তোমার ক্যাম্পাসটা ছোট বলেই রোজ ক্যাম্পাসের
প্রিয় মুখ গুলোর দেখা পাই, ক্যাম্পাসটা ছোট বলেই সম্পর্কগুলো এত মধুর, এত মজবুত।
★জবি তোমার ক্যান্টিনের খাবার নিম্ন মানের —
তাতে কি? তোমার ক্যান্টিনের প্রতিটা প্লেটে আমি বাস্তবতা খাই, আমি অনুভব করতে পারি মধ্যবিত্তের লুকানো হাহাকার, দারিদ্র্যের চরম বাস্তবতা
★ জবি তোমার ক্লাসরুমে এসি নেই — তাতে কি?
ক্লাসরুমে এসি থাকলে হয়তো মগজটা জমে যেত ঠাণ্ডায়, তাহলে হয়তো এত এত বিসিএস ক্যাডার
বের হতো না জবি থেকে।
প্রাণের জবি তোমার আরো.. আরো.. আরো.. হাজারটা দুর্বলতা থাকা সত্ত্বেও তোমাকেই ভালোবাসি কারণ তুমি আমার আশ্রয়দাত্রী। ভর্তি পরীক্ষার বিভীষিকাময় সময়ে সমস্ত সুযোগগুলো অভিমানী সুরে যখন পালাতে ব্যস্ত, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন যখন হতাশার বাস্তবতা তুমিই তখন স্বপ্ন দেবীর মতো দেখা দিয়েছিলে আমার বাস্তবতায়। তোমার মহত্বের কাছে তোমার অপ্রতুলতা অতি নগন্য।
শৈশব পেরিয়ে মাত্র কৈশোরে আসতে না আসতেই তোমার মেধার গৌরবের দ্যুতি এত প্রখর তবে নিশ্চিন্তে বলতে পারি যৌবনে তুমিই হবে সেরা, রুপবতী, গুণবতী।
জন্মদিনের এই শুভক্ষণে তোমার জন্য থাকলো পৃথিবীর সমস্ত শুভকামনা ও সহস্র সালাম।
আর হ্যাঁ তোমার কি আছে কি নেই সেটা মূখ্য নয় বাস্তবতা হলো দিন শেষে তুমি আমার জবি আমি তোমার গর্বিত জবিয়ান।
লেখক, কনিক স্বপ্নীল শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়